প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০২০ ২১:১৯

দুই চিকিৎসকসহ আরও ৪ জন করোনায় আক্রান্ত

অনলাইন ডেস্ক
দুই চিকিৎসকসহ আরও ৪ জন করোনায় আক্রান্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। আক্রান্ত চারজনের মধ্যে দুজন চিকিৎসকও রয়েছেন।

করোনাভাইরাস নিয়ে দেশের সবশেষ পরিস্থিতি জানাতে শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। কাজেই তাদের নিয়ে আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ জনে।

তিনি বলেন, সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণের দ্বিতীয় দিন চলছে। জনগণের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতেই এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আপনারা ঘরের বাইরে যাবেন না, ভেতরেই থাকবেন।

আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলবেন। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের এ ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। রোগের বিস্তারকে বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করে প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এই অধ্যাপক বলেন, রোগের বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষার বিষয়টি প্রসারিত করার কথা জানিয়েছে। এরমধ্যে সেই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সেব্রিনা বলেন, এতদিন যারা বিদেশ থেকে এসেছিলেন কিংবা তাদের সংসর্গে থাকা ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারা এসেছিল অথবা গত ১৪ দিনের মধ্যে রোগীর সংস্পর্শে ছিল, তাদের মধ্যে লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে কেবল তাদের নমুনাই পরীক্ষা করছিল আইইডিসিআর। এখন যারা ঝুঁকিপূর্ণ পেশা বা দীর্ঘমেয়াদী রোগ থাকার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন, তাদের নমুনাও সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে

ডা. ফ্লোরা বলেন, নমুনা সংগ্রহের দিক থেকে আপনাদের যে অনুরোধ আছে, তা একটি কিউ তৈরি করেছে। আপনাদের দিক থেকে আগের তুলনায় প্রসারিত সংজ্ঞা অনুযায়ী আমরা নমুনা সংগ্রহ করছি।

নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা পদ্ধতিতে বেশ সময় লাগছিল বলে স্বীকার করে নেন আইইডিসিআর পরিচালক। তিনি বলেন, নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেছি  অনেককে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

আমরা নমুনা সংগ্রহ প্রসারিত করেছি। আমাদের টিম গিয়ে হাসপাতাল থেকে নমুনা নিয়ে আসত। এখন হাসপাতালের নমুনাগুলো হাসপাতালই আমাদের সংগ্রহ করে পাঠাবে।

তিনি বলেন, আইইডিসিআরে বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যেখানে পরীক্ষাগুলো হবে, আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি, আপনাদের যত শিগগির সম্ভব সেবাটি পৌঁছে দেওয়া যায়। চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব এই সেবাটি পৌঁছে দেয়া যায় এবং যত দ্রুত সম্ভব এ পরীক্ষার রিপোর্ট আপনাদের কাছে পাঠানো যায়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে নানা তথ্য জানাতে প্রত্যেকটি জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হটলাইন সার্ভিস চালু করছে বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ও আইইডিসিআরে যে হটলাইন নম্বর ছিল, সেখানেও লাইনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

জ্বর বা কাশি হলেই কোভিড-১৯ আক্রান্ত ভেবে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ডা. ফ্লোরা বলেন, ভেবে বিচলিত বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবেন না। আপনার দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর ছাড়াও স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ নাম্বারটি আছে, সে নম্বরে আপনারা যোগাযোগ করুন। সেখানে অন্যান্য পরামর্শের পাশাপাশি এটি কভিড-১৯ কিনা সে বিষয়েও পরামর্শ দেওয়া হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে