প্রকাশিত : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২২:৫৯

বগুড়ায় করোনার মধ্যেই বেড়েছে যানজট অনেকেই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় করোনার মধ্যেই বেড়েছে
যানজট অনেকেই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

বগুড়া শহরে করোনা ভাইরাসের কোন সুখবর নেই। আক্রান্তের সংখ্যা দিন যাচ্ছে আর বাড়ছে। মৃতু্যৃর সংখ্যা এখন ১৬০ জনে পৌঁছেছে। তারপওর বগুড়া শহরের দিনে কিম্বা রাতের চিত্র দেখলে বোঝার উপায় নেই এই শহরে করোনা কত ভয়ঙ্কর হয়ে আছে। করোনা ভয়াভহতার মাঝেই এই শহরের ফুটপাতে ভিড়, খোলা খাবার বিক্রির হিড়িক, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, রিক্সা, মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে রেখেছে ইচ্ছেমত।

শহরের প্রধান প্রধান সড়কে ভিড়, ময়লার স্তুপ, ওষুধের মার্কেট, নিউ মার্কেট, ফতেহ আলী বাজার, চুড়িপট্টিসহ সবখানেই মানুষের ভিড়। ভিড় যেমন বেড়েছে তেমনি অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না। 

শনিবার বগুড়া সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফারজানুল ইসলাম জানান, বগুড়ায় নতুন করে আরো ৩জন শিশুসহ ৩৭জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় মোট আক্রান্ত হলো ৬ হাজার ৮৮৩ জন। নতুন করে ৪১ জনের সুস্থতা নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৫ হাজার ৮৪২ জন।

শনিবার পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬০ জন। সরকারি প্রতিবেদনটি বগুড়া শহরের জন্য ভাল নয়। তারপরও বাণিজ্যিক এই শহরে মানুষের চাপ কমছে না। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পরেও শহরে মানুষের ভিড় বেড়েছে। নিজেদের চাহিদা পুরন করতে গিয়ে শহে চাপ বাড়িয়েছে সাধারণ মানুষ। জেলা শহরের প্রধান সড়ক শহরের সাতমাথা, থানা রোডটি সবচেয়ে ভিড় বেশি ও ব্যস্ততা থাকছে সবসময়।

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই শহরে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য লক ডাউন শিথিল করা হলেও সেসব ঠিকঠাক কেউ মানছে না। না মানার কারণে শহরে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই যানজটে আটকে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। এর সাথে যোগ হযেছে ওষুধের মার্কেট, নিউ মার্কেট, ফতেহ আলী বাজার, চুড়িপট্টিসহ কয়েকটি মার্কেটে নির্দিষ্ট পরিমান দোকানের বাহিরে এসে নিজের পণ্য সাজিয়ে মার্কেটে সাধারণ ক্রেতাদের পথ সরু করা হয়েছে।

চলাচল করতে গিয়ে একজন আরেকজনের সাথে ধাক্কা লেগে যাচ্ছে। এতে করে স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না। এই যানজটের মধ্যে রোগীবাহি এ্যাম্বুলেন্স, আইনশৃঙ্খলা বহিনীর গাড়ী, প্রাইভেটসহ রিক্সা ভ্যানও পড়ছে। গত কয়েকদিন ধরেই শহরের বড়গোলায় থেকে সাতমাথামুখি সড়কটি যানজট লেগেই থাকছে। এর সাথে চকযাদু ক্রসলেনে (১নং রেলঘুমটি) সড়কটিতে কখনই ফাকা থাকে না। সার্বক্ষনিক জানজটে থাকে।

ইচ্ছে মত যানবাহন পাকির্ং, ফুটপাত দখল করে ফেলার কারনে এই দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সরকারি প্রজ্ঞাপন না মানায় জেলা শহরে প্রায়দিনই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা দণ্ড প্রদানও চলছে। তারপররেও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। 

বগুড়া শহরের মোটরসাইকেল, রিক্সা, প্রাইভেট গাড়ী, অটো চার্জারের যানবাহনের উপস্থিতি আগের থেকে বেড়েছে কয়েকগুন। বগুড়া সদর থানা পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে। জেলা শহরের এখন সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত ও ভিড় থাকছে শহরের সাতমাথা, থানারোড, বড়গোলা, বাদুড়তলা, দত্তবাড়ি, টিনপট্টি, মেরিনা মার্কেট রোড, ফতেহ আলী মোড়, রাজাবাজার রোড, নবাববাড়ী এলাকায় মানুষের ভীড় লেগেই থাকে।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই লোক সমাগম এখন অনেক বেড়েছে। নানা কারনে সকাল থেকেই যানবাহন সহ মানুষের ভীড় থাকে বড়গোলা সহ থানা রোডে। এই রোডের জ্যামের কারনে শহরের অন্যান্য রোডেও জ্যাম সৃষ্টি হচ্ছে। বগুড়া সদর ফাঁড়ির টিএসআই মোঃ খোরশেদ আলম জানান, যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনই কাজ করা হচ্ছে। সাধ্যমদে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আগের থেকে শহর বেশ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। সে কারণে যানজট বাড়ছে। তাছাড়া যাদের করোনা হচ্ছে তাদের বাড়ি লকডাউন করা হচ্ছে। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে