প্রকাশিত : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২১:২৩

ধুনটে মাল্টা চাষে সফলতা

ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) থেকে
ধুনটে মাল্টা চাষে সফলতা

করোনা ভাইরাস সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে মাল্টার গুরুত্ব অনেক। স্থানীয় বাজারেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই ফল এখন বাজারে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত দেশি মাল্টা সাধারণ মানুষের কাছে ফরমালিন মুক্ত থাকায় চাহিদাও বেশি। একারনে বগুড়া জেলায় দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে মাল্টা চাষ। 

সরেজমিনে বগুড়ার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ও চিকাশী ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে স্থানীয় কৃষকরা অপেক্ষাকৃত উচুঁ জায়গায় কান্দি করে মাল্টার বাগান করছে। কৃষি বিভাগ মাল্টা চাষাবাদে কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের মাল্টা চাষ সম্প্রসারনে কাজ করছে। এই অঞ্চলের উৎপাদিত মাল্টা চাষ অনেকটাই লাভজনক।

ধুনট উপজেলার চিকাশী ইউনিয়নের জোড়শিমুল গ্রামের স্কুল শিক্ষক রজিব উদ্দিন সরকার মাল্টা চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি ২০১৮ সালে ১ একর ১৬শতক জমিতে পিয়ারা গাছের পাশাপাশি ৩৫০টি মা গাছ রোপন করেন। বর্তমানে গাছগুলো প্রায় তিন ফুট উচ্চতা হয়েছে। প্রতিটি মাল্টা গাছেই প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০টি পর্যন্ত মালটা ধরেছে।

২০১৮ সালে রোপন করা মাল্টা বাগান থেকে ২ বছর পর ফলন পেতে শুরু করেছেন রজিব উদ্দিন। বর্তমানে তার বাগানে মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ফলগুলো তুলে বাজারজাত করবেন শিক্ষক রজিব উদ্দিন।মাল্টা চাষি রজিব উদ্দিন বলেন, সরকারি কোন অনুদান পেলে মাল্টা চাষে অনেক কৃষকই এগিয়ে আসবে। এতে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করে লাভবান হওয়া সম্ভব।
ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক বলেন, মাল্টা চাষ অনেকটাই লাভজনক। তাই অনেক কৃষকই এখন মাল্টা চাষে ঝুকে পড়ছে। তাই মাল্টা চাষ করতে কৃষদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে