প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২১:২৭

বগুড়ার মার্কেটগুলো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না পায়ে চলার পথে পণ্য রেখে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ার মার্কেটগুলো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না
পায়ে চলার পথে পণ্য রেখে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে

বগুড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র গড়ে উঠা বিপনী বিতানসহ বিভিন্ন পণ্যের মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি গুরুত্বের সাথে মানা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে বগুড়ায় করোনা ভাইরাসও নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। বগুড়া বেশিরভাগ মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের পায়ে চলার চলার রাস্তায় মালামাল রেখে দখল করে নেয়ার ফলে ক্রেতারা আরেক জনের সাথে ধাক্কা খাচ্ছে। গায়ের সাথে গা লেগে থাকছে। যে কারণে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে দ্রুত। সরকারিভাবে বগুড়ায় ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৬৮ জন মারা গেছে। যার মধ্যে শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতান ও মার্কেটের ব্যবসায়িরা রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বগুড়া শহরের নিউমার্কেট, হকার্স মার্কেট, সরাফত মার্কেট, খান মার্কেটের ওষুধের দোকানগুলো, রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজারসহ বিভিন্ন মার্কেটের ক্রেতাদের পায়ে চলার রাস্তায় বিভিন্ন পণ্য রাখা হচ্ছে। কোন কোন মর্কেটে আবার বাসার চেয়ার, টুল রেখে পায়ে চলার রাস্তা সুরু করে রাখা হচ্ছে। অথচ বিক্রেতাদের নির্দিষ্ট দোকানঘরের জায়গা থাকার পরেও ক্রেতাদের চলাচলের রাস্তা দখল করে নিয়েছে। রাতের বেলা বন্ধ করার সময় সকল মালামাল দোকানে থাকলেও দিনের বেলায় ক্রেতাদের রাস্তা দখল করে নেয়। ফুটপাত দখল করে নেয়।

এমন অবস্থা এখন দাঁড়িয়েছে যে একজন ক্রেতা দাঁড়ালে আরো একজন ক্রেতার কোন দাঁড়ানোর কোন জায়গা থাকে না। এতে করে গায়ে গা লেগে থাকছে। অনেকেই আবার কোন ভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। বাণিজ্যিক শহর হিসেবে নামডাক আছে বগুড়ার। নামে বেনামে মার্কেটগুলোতে ভিড়ে সয়লাব বগুড়া শহর। কিন্তু লক্ষ্য করলেই দেখা যায় দোকানীরা তাদের দোকানের মালামাল অধিক প্রচারের জন্য দোকান হতে তাদের সামনের পায়ে চলার পথে রাখে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বাজার করতে আসা হাজারো গ্রাহককে। সবচে বেশী ভোগান্তিতে পড়তে হয় বাজার করে ফেরার পথে।

ভারী ভারী ব্যাগ বস্তা নিয়ে বাজার হতে কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে বাজার ফেরত মানুষকে। বার বার এনিয়ে পত্র পত্রিকায় লেখালেখি ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হলেও হলেও এ ভোগান্তির কোন কুল কিনারা খুঁজে পায়নি বগুড়াবাসী। সরজমিনে দেখা গেছে শহরের রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজারে এসব ভোগান্তি চরমে। দোকানীরা রাস্তা বন্ধ করে ফুটপাত দখল করে তাদের মালামালের পসরা সাজিয়ে পথচারী ও গ্রাহকদের চলার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি করছে।নিরুপায় গ্রাহক না পারে বলতে না পারে সইতে। সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারী দাবি করেছেন ভুক্তভোগী প্রাহক। 

বগুড়া শহরের নিউ মার্কেট ফেরত এক ক্রেতা জানান, ঈদের আগে মার্কেট খোলা বন্ধ নিয়ে খেলা হলো। সে সময় মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিভিদ মেনে চলার কথা বলা হলেও নিউ মার্কেটের মধ্যে এমন সুরু রাস্তা রয়েছে সেখানে এমনিতেই দাঁড়ানো কষ্টকর। সেখানে আবার দোকানিরা মালামাল রেখে ক্রেতাদের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করছে প্রতিনিয়ত। মার্কেটের ক্রেতারা দাবী জানিয়েছে দ্রুত স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেটগুলো পরচিালনা করা হোক। একই সাথে ক্রেতাদের দাঁড়ানোর জায়গা রাখা ও দোকানির মালামাল নির্দিষ্ট দোকানের মধ্যেই রাখা হোক। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে