প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২২:০৬

ঘুষ ছাড়া ঋণ মিলেনা কালাইয়ে দুই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

সেলিম সরোয়ার কালাই:
ঘুষ ছাড়া ঋণ মিলেনা কালাইয়ে দুই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

জয়পুরহাটের কালাই অগ্রণী ব্যাংকের শাখার ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম এবং মো. আব্দুল মজিদ নামে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, অসৌজন্যমূলক আচরণ ও  সময়মতো অফিস না করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ১৭ জন ভুক্তভোগী ইতোমধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং সিইও বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। তবে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই শাখা ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তাদের মধ্যে কেউ খামারি, কেউ কৃষক, কেউবা ব্যবসায়ী।  তারা অগ্রণী ব্যাংকের কালাই শাখায় ঋণ নিতে যান।

কিন্তু শাখা ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ ঋণ মঞ্জুর করার জন্য তাদের কাছ থেকে ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় শাখা ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানী করায় এবং খারাপ আচরণ করেন। লিখিত অভিযোগের সূত্রে অনুসন্ধানে জানা যায়, মো. মানিক মিয়া নামে কালাই ফকির পাড়া মহল্লার একজন ডিম ব্যবসায়ী, জয়পুরহাট-মোকামতলা রোড়ের কালাই বাসস্যান্ড এলাকায় সড়ক ও জনপদের (সওজ) জায়গায় ব্যবসা করেন। উৎকোচের মাধ্যমে তিনি সরকারি ওই অস্থায়ী জায়গায় দোকান দেখিয়ে ৪ লাখ টাকা সিসি ঋণ গ্রহণ করেন।

এদিকে, নাম সর্বস্ব একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে একই কৌশলে তিন লাখ টাকা সিসি ঋণ গ্রহণ করেন কালাই কর্মকার পাড়া মহল্লার বাসিন্দা শ্রী মানিক চন্দ্র। অন্যদিকে, উপজেলার মোহাইল গ্রামের কাবেজ উদ্দিনের ছেলে আমিরুল হোসেন ঋণের জন্য আবেদন করে বহু দিন হয়রানি হয়েছেন। অবশেষে অগ্রণী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আব্দুল মজিদকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে তবেই ঋণ পেয়েছেন। আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ জানান, অভিযোগগুলো অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

এ বিষয়ে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সত্য নয়। সব অভিযোগই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অগ্রণী ব্যাংকের জয়পুরহাট জেলার এজিএম আব্দুল মজিদ মুঠোফোনে জানান, এ বিষয়ে তিনি একটি লিখিত অভিযোগের কপি পেয়েছেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে