প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২৩:২৭

বগুড়ায় যমুনায় পানি বিপদসীমার ৪ সেমি উপরে

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় যমুনায় পানি
বিপদসীমার ৪ সেমি উপরে

বগুড়ার সারিয়াকান্দির উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রবিবার বিকালে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যমুনা নদী পাড়ের ও চরের বিভিন্ন সবিজির জমিতে পানি প্রবেশ করেছে। নতুন করে ভাবনায় পড়েছে স্থানীয় চাষিরা। পানি না কমলে নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার আমন ধান শাকসবজি ও চরাঞ্চলের কৃষকের আউশ, মরিচ রোপা আমন, বীজতলা, শাকসবজি ও গাইনজা ধানের আবাদ নষ্ট হয়ে যাবে। 

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে যমুনা নদী পানি বাড়তে থাকে। এতে নদী এলাকায় নতুন করে বন্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর নতুন করে যারা চাষবাস শুরু করে তাদের ফসল নিয়েও বেশ চিন্তায় রয়েছে। শনিবার থেকে পানি কমতে থাকায় স্থানীয় চাষিদের কিছুটা চিন্তা কমেছে।

রবিবার সকালে প্রায় ৯ সেন্টিমিটার পানি কমে যায়। এর আগে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার আমন ধান শাকসবজি ও চরাঞ্চলের কৃষকের আউশ, মরিচ রোপা আমন, বীজতলা, শাকসবজি ও গাইনজা ধানের আবাদ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যায় যেসব এলাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে সে এলাকাগুলো হলো, সারিয়াকান্দি পৌরসভার দক্ষিণ হিন্দুকান্দি, ছাগলধরা, ডোমকান্দি, নারচি নিজ বরুরবাড়ী, হাটশেরপুর ইউপির হাসনাপারা, শাহানবান্দা। এছাড়াও চর এলাকার ৫টি ইউনিয়নের নিচু এলাকার ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। যমুনা ও বাঙ্গালী উভয় নদীর পানি কমতে থাকায় নদী পারের লোকজনের আতংক কিছুটা কমেছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর রবিবার পানি কমে এখন ৪ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি আরো কমে যাবে। 

উপরে