প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০২০ ১২:৫০

ইলেকশন আর সিলেকশন দ্বন্দ্বে শেরপুর শ্রমিক ইউনিয়ন

শুভ কুন্ডু, শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
ইলেকশন আর সিলেকশন দ্বন্দ্বে শেরপুর শ্রমিক ইউনিয়ন

বগুড়ার শেরপুরের উপজেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে ইলেকশন আর সিলেকশন দ্বন্দ্বে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। শেরপুর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বচনী দ্বন্দ্বে বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাজমুল আলম খোকনকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন মো: নাজমুল আলম খোকন।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৩অক্টোবর) বিকেলে পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডস্থ শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়াম্যান সহ উক্ত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্যদের উপস্থিতিতে নির্বাচন প্রস্তুতিমূলক আলাপ আলোচনা করা হয়। আলোচনায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়াম্যান মো: আনসার আলীর উপস্থিতিতে অধিকাংশ সদস্যদের দাবি অনুযায়ী নির্বাচন সুষ্ঠভাবে বিধি মোতাবেক সম্পন্ন করে নির্বাচিত নতুন কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করার স্বিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পরে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচনের পূবপ্রস্তুতি নিতে পুনরায় আগামী শনিবার (১৭অক্টোবর) সকাল ১০টায় দিন ধার্য্য করে সভার সমাপ্ত ঘোষনা করেন। এ সময় শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী মো: কামাল হোসেন ক্ষুব্ধ হন এবং ইলেকশন না দিয়ে সিলেকশনে সাধারন সম্পাদক হতে চান। এর পরে শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় থেকে বের হতেই ঘটনাস্থলে এক নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম শিপ্লব, মো: মতিয়ার রহমান মতি, মো: শাহিন সরকার, মো: হাফিজার রহমান, মো: আবু রায়হান সহ অনেকের উপস্থিতিতে শ্রমিক নেতা কামাল হোসেন, তার ছেলে মানিক শেখ ও বাবু মিয়া নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য খোকনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভয়ভীতি এবং হুমকি প্রদর্শন করেন। মুহুর্তেই বিষয়টি গোটা শেরপুর ছড়িয়ে পরে এবং ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে শ্রমি নেতা কামাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তার ছেলে মানিক শেখের মুঠোফোনে কল দিয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্য মো: আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি এবং উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে শ্রমিক নেতা কামাল হোসেনের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের আরেকটি অভিযোগও পেয়েছি। উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

 

উপরে