প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারী, ২০২১ ২৩:০৪

বগুড়ায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি ৭ মার্চ জাতীয় দিবস হিসবে পালন করা হবে-

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি 
৭ মার্চ জাতীয় দিবস হিসবে পালন করা হবে-

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বগুড়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার দ্রুত পুনরায় দ্রুত নির্মাণের আশ^াস দিয়ে বলেন, আগামীতে ৭ মার্চ জাতীয় দিবস হিসবে পালন করা হবে। দিবসটি পালনে প্রতিটি জেলা উপজেলা প্রশাসনে বাজেট বরাদ্ধ প্রদান করা হবে। আগামী প্রজন্ম যেন ৭ মার্চ বিষয়ে বিস্তারিত ও সঠিক ইতিহাস জানতে পারে এবং জানাতে পারবে। এজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সাংস্কৃতিক কর্মীদের দাবীর মুখে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বগুড়ায় প্রতিবছর তিনদিনব্যাপি একটি সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হবে। অর্থায়ন করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। জেলার উৎসবে স্থানীয় শিল্পীরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান, নাটক, কবিতা, নৃত্য পরিবেশন করে নিজের জেলাকে তুলে ধরবে। শুধু বগুড়ায় এমন হবে না। সারা দেশে তিনদিনের একটি উৎসব করার প্রস্তুতি চলছে।

২০ জানুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ১০ টায় বগুড়া সার্কিট হাউজে সভা কক্ষে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংস্কৃতি কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক।
বক্তব্য রাখেন বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার, টিএমএসএস এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা হোসনে আরা বেগম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খান রনি, জোটের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন, উপস্থিত ছিলেন হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর আফজাল হোসেন, বগুড়ার সাংস্কৃতিক নেতা, কর্মীসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসেনর কর্মকর্তাবৃন্দ। 
সভায় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বগুড়ার সাংস্কৃতিক নেতা কর্মীদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া শোনেন এবং সেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ^াস প্রদান করেন। দাবী দাওয়ার মধ্যে রয়েছে বগুড়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পুনর্গঠন করে নির্মাণ, বগুড়ার শিল্পীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু’র গান রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা ও প্রচার করা, জেলা স্কুলের ভিতরে থাকা থমসন হল সংস্কৃতি কর্মীদের জন্য খুলে দেওয়া, উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরির সংস্কার করা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা, কাহালু বেতার কেন্দ্র স্টুডিও নির্মাণ করে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করা, গান, আবৃত্তি, নৃত্য প্রশিক্ষকদের শিল্পি সম্মানী বৃদ্ধি করা, জেলার পুরাতন শিল্পকলা একাডেমীর মঞ্চ যুগোপযোগী করা ও শিল্পকলা একাডেমীকে পুনর্গঠন করে একটি সাংস্কৃতিক পল্লী গড়ে তোলা, যাত্রা শিল্পীদের বিভাগ ওয়ারী অডিশন, যাত্রা শিল্পের উন্নয়ন ও যাত্রা শিল্পীদের যথাযথ মুল্যায়ন করা, চিত্রশিল্পীদের জন্য একটি গ্যালারি নির্মাণ, অসুস্থ শিল্পীদের জন্য চিকিৎসা ভাতা ও মারা গেলে এককালিন অনুদানের ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করা, স্কুল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা করা, একুশে বইমেলার আয়োজনের অনুমতি, সংস্কৃতির বিষয় নিয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি ও গবেষণার পরিবেশ তৈরি করাসহ সাংস্কৃতিক কর্র্মীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে