প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারী, ২০২১ ২৩:০৮

বগুড়ায় ১৭০২টি গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন দুর্যোগ সহনীয় ঘর, হস্তান্তর ২৩ জানুয়ারী

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার
সঞ্জু রায়, স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়ায় ১৭০২টি গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন
দুর্যোগ সহনীয় ঘর, হস্তান্তর ২৩ জানুয়ারী

মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বগুড়াসহ সারাদেশে ৬৯ হাজার ৯’শ ৪ জন ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ২৩ জানুয়ারী। যেখানে বগুড়ার ১২টি উপজেলায় সর্বমোট ১ হাজার ৭’শ ২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার পেতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বপ্নের আবাসস্থল। কেন্দ্রীয়ভাবে সারাদেশে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বগুড়ার বিস্তারিত তুলে ধরে জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব কথা জানান জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক। তিনি বলেন, রাজশাহী বিভাগে বগুড়া জেলায় সবচেয়ে বেশি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জেলার ১২টি উপজেলা এবং ৫০টি ব্যারাকসহ মোট এক হাজার ৭’শ ২ টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কার্যক্রম জেলা প্রশাসনের ৪জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিয়মিত তদারকি করছেন। জেলা প্রশাসনে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজন না থাকলেও ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ঘর বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১২ উপজেলায় স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপকারভোগীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিসি জিয়াউল হক আরো বলেন, সারা পৃথিবীর মাঝে এতবড় আয়োজন বা উদ্যোগ দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশেই প্রথম। একযোগে এই জমিসহ গৃহ হস্তান্তর এই কার্যক্রম সম্পর্কে উৎসবমুখর পরিবেশে সকল জানানো সত্যিই আনন্দের ও গর্বের। তবে বগুড়ায় এখনো সকল গৃহের কাজ শতভাগ সম্পূর্ণ না হলেও দুযোর্গ সহনীয় এই আবাসস্থলের ছাউনির কাজ শেষ হচ্ছে ২৩ তারিখের মধ্যে। হস্তান্তরের পর অল্প সময়ের মাঝে ডিজাইন অনুযায়ী সকল কাজ শেষ করা হবে। গৃহহীনদের আবাস্থল নির্মাণের এই ধারা চলমান থাকবে কি না মর্মে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করলে ডিসি জিয়াউল হক বলেন, প্রথম ধাপেই এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সকলকেই খুব বেগ পেতে হয়েছে যদিও হাজারো পরিবারের সদস্যদের প্রশান্তির কাছে তা তুচ্ছ।

খাস জায়গার প্রাপ্যতা এবং বরাদ্দ পেলে চাহিদা মোতাবেক এই কার্যক্রম অবশ্যই চলমান থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাসুম আলী বেগ, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) জিএম রাশেদুল ইসলাম, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) ফেরদৌস আরা, সহকারী কমিশনার (গোপনীয়) আশরাফুর রহমান, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, সাধারণ সম্পাদক আরিফ রেহমানসহ বগুড়ার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ১ হাজার ৭’শ ২টি ঘরের মধ্যে বগুড়া সদরে ২৫০টি, শাজাহানপুরে ১৫টি, শেরপুরে ১৬৩টি, ধুনটে ১০১টি, সারিয়াকান্দিতে ১০৭টি, সোনাতলায় ১২৫টি, গাবতলীতে ৪৫টি, শিবগঞ্জে ১৮০টি, আদমদীঘিতে ১০০টি, দুপচাঁচিয়ায় ১৩৩টি, কাহালুতে ৭৭টি এবং নন্দীগ্রামে ১৫৬টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের শনপঁচা মোল্লা পাড়ায় ১০টি ব্যারাকে ৫০টি, নান্দিনার চরে ১৬টি ব্যারাকে ৮০, চন্দনবাইশরা ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ায় ২৪টি ব্যারাকে ১২০টি পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে