প্রকাশিত : ৩ এপ্রিল, ২০২৪ ২৩:০১

বগুড়ার শেরপুর পৌর মেয়রের বিরদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত

কারণ দর্শানোর নির্দেশ
ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ার শেরপুর পৌর মেয়রের বিরদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত

বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কয়েকটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
এ ঘটনায় গত ২৭ মার্চ তাকে কেন অপসারণ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, শেরপুর পৌরসভার সান্যালপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হক লুলু গত ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সেখানে তিনি পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ২১টি বিষয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে তুলে ধরেন। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য রাজশাহী  বিভাগের স্থানীয় সরকার পরিচালকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে কিছু অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্র অনুযায়ী, পৌর মেয়র জানে আলম খোকার বিরুদ্ধে ৮টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সেগুলো হলো,  পৌরসভার মালিকানাধীন বিভিন্ন দোকান বরাদ্দের নামে অর্থ আত্মসাত, বিধি বহির্ভূতভাবে শেরপুর পৌরসভাধীন ধুনট মোড় বাস টার্মিনালের ২০২০ এবং ২০২১ সালের ইজারা মওকুফ, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মাষ্টাররোলে কর্মচারী নিয়োগ, জীপ গাড়ী মেরামতে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়, শেরপুর পৌর কিচেন মার্কেটটি জুন, ২০২১ মাসে হস্তান্তর করা হলেও ২২৮টি দোকান বরাদ্দ প্রদান না করা, পৌরসভার বিভিন্ন ক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম, পৌরসভার গৃহকর এসেসমেন্টে দুর্নীতি এবং ইমারত ও ভূমির উপর কর অতিরিক্ত কর আদায় করা।
এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩২ এর উপ-ধারা (১) (ঘ) অনুযায়ী অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে তাকে কেন অপসারণ করা হবে না, এ বিষয়ে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব প্রদানের  জন্য বলা হয়েছে।
মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত মেয়র জানে আলম খোকা বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তার বক্তব্য অনুযায়ী তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। তিনি জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নোটিশের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে