ক্ষেতলালের পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে টাকা ফেরত

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ফুলদীঘি বাজার পশুর হাটে নির্ধারিত হারের চেয়ে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য হন ইজারাদার। বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলমান কুরবানির পশুর হাটে খাসি ক্রয়ের সময় একাধিক ক্রেতার কাছ থেকে ৩০০ টাকার জায়গায় ৩৫০ টাকা হাসিল আদায় করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে হাটে উপস্থিত ক্রেতা ও স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে হাট এলাকায় দায়িত্ব পালনরত সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে। তদন্তে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে সেনা সদস্যরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং আদায়কৃত অতিরিক্ত টাকা ভুক্তভোগীদের ফেরত দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তারা বলেন, “প্রশাসনের তৎপরতা ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে জনস্বার্থ রক্ষা হয়েছে। এমন নজরদারি থাকলে হাটে সাধারণ মানুষের হয়রানি অনেকটাই কমবে।”
হাট ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আনারুল ইসলাম স্বীকার করে বলেন,
“৩০০ টাকার জায়গায় ৩৫০ টাকা হাসিল নেওয়া হয়েছিল। সেনাবাহিনী এসে সেই টাকা ফেরত দিয়েছে। আজকের হাট শেষ হলেও ভবিষ্যতে কেউ অতিরিক্ত হাসিল নিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, কুরবানির পশুর হাট শুরু হওয়ার পর থেকেই ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আল জিনাত অতিরিক্ত হাসিল আদায় প্রতিরোধে নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাট ইজারাদারদের সতর্ক করা হয়েছে যে, নির্ধারিত হারের বাইরে হাসিল আদায় করলে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।