প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:২৫

বৃষ্টিতে বন্ধ সেমিফাইনালের খেলা, ম্যাচ না হলে কী হবে?

অনলাইন ডেস্ক
বৃষ্টিতে বন্ধ সেমিফাইনালের খেলা, ম্যাচ না হলে কী হবে?

ইডেন গার্ডেনে ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগেই বৃষ্টির শঙ্কা ছিল। বৃষ্টিতে ভেসে যেতে পারে সেমিফাইনাল ম্যাচটি। এ শঙ্কা মাথায় নিয়েই টস করতে নেমেছিলেন দুই অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা এবং প্যাট কামিন্স। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই পড়েছে মহা ব্যাটিং বিপর্যয়ে। ২৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছে প্রোটিয়ারা।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এবার সম্ভবত আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বৃষ্টি। যে শঙ্কা বিরাজ করছিল, সেটাই সত্যি প্রমাণ হলো। শেষ পর্যন্ত ইডেন গার্ডেন্সজুড়ে বৃষ্টি নেমেছে। যে কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।

বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল ১৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান। ১০ রান করে নিয়ে ব্যাট করছেন হেনরিক্স ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার।

বৃষ্টির কারণে আজ খেলা না হলে ম্যাচ গড়াবে রিজার্ভ ডে’তে। এর মধ্যে দুই দল মিলে দুদিনে যদি ২০ ওভার করে ম্যাচ খেলে ফেলতে পারে তাহলে তার ওপর ভিত্তি করেই ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ফল নির্ধারণ করা হবে। যদি কোনো একটি দল ২০ ওভারের কম খেলে, তাহলে ম্যাচ বাতিল হবে এবং গ্রুপ পর্বের পয়েন্টে এগিয়ে থাকা দল উঠবে ফাইনালে। সে হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকাই রয়েছে এগিয়ে।

প্রথম সেমিফাইনাল হয়েছিল রান উৎসবের। মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত এবং নিউজিল্যান্ড- দুই দলই করেছে ৩০০ প্লাস রানের ইনিংস। ৭০০ রানের বেশি ওই ম্যাচে জয় হয়েছে ভারতের। কিন্তু কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দ্বিতীয় সেমিফাইনালটা হচ্ছে তার পুরো উল্টো। এখানে শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে, রানের জন্য মাথা কুঁড়ে মরছে ব্যাটাররা।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। পুরো টুর্নামেন্টে টস জয় মানেই দক্ষিণ আফ্রিকার রান উৎসব। এবারও সেই শঙ্কাই করেছেন অনেকে। টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর ধারণা ছিল, প্রোটিয়াদের উড়ন্ত সূচনা হবে।

কিন্তু তার ছিটেফোটাও দেখা যাচ্ছে না। বরং, উল্টো দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরু থেকেই চেপে ধরেছে অস্ট্রেলিয়া। একদিকে তারা যেমন উইকেট তুলে নিচ্ছে, অন্যদিকে রানও আটকে রেখেছে। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে- দক্ষিণ আফ্রিকাকে পুরোপুরি বেধে ফেলেছে বলা যায়।

এরই মধ্যে আউট হয়ে ফিরে গেছেন কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমা, রাসি ফন ডার ডুসেন এবং এইডেন মার্করাম। প্রথম ওভারের শেষ বলেই মিচেল স্টার্ক ফিরিয়ে দেন টেম্বা বাভুমাকে। উইকেটের পেছনে জস ইংলিশের হাতে ক্যাচ দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৪ বলে কোনো রানই করতে পারেননি তিনি।

৬ষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন কুইন্টন ডি কক। জস হ্যাজলউডের বলে প্যাট কামিন্সের হাতে ক্যাচ দেন ডি কক। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলে আসা ডি কক একেবারে জায়গামত এসে ব্যর্থ হলেন। দলীয় রান ছিল তখন ৮ রান।

দলীয় ২২ রানের মাথায় ফিরে যান এইডেন মার্করাম। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন তিনি। ১০ রান করে তিনি আউট হন হ্যাজলউডের বলে। ২৪ রানের মাথায় আউট হন রাসি ফন ডার ডুসেন। তিনি করেন ৬ রান।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে