বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলন করে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার চাইলেন রব্বানী | Daily Chandni Bazar বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলন করে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার চাইলেন রব্বানী | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২২:২৯
বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলন করে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার চাইলেন রব্বানী
ষ্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলন করে সুষ্ঠু 
তদন্ত ও ন্যায় বিচার চাইলেন রব্বানী

বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শেরপুর উপজেলার শ্রীরামপুরের বাসিন্দা মোঃ গোলাম রব্বানী তার জীবনে ঘটে যাওয়া করুন পরিণতির সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের আশায় প্রধানমন্ত্রীর হুস্তক্ষেপ কামনা করেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় আয়োজিত সংসবাদ সম্মেলনে গোলাম রব্বানী লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট। তিনি নিজেকে পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, বিশ^বিদ্যালয়টি গত ২০০২ সালের ২৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রাণালয় থেকে এইচ আই ফাউন্ডেশনের অনুকুলে ফাউন্ডেশনের সদস্য প্রফেসর ড. লুৎফর রহমানের নামে  অনুমোদন লাভ করে। এই অনুমোদনের সাথে এনজিও টিএমএসএস এর সম্পর্ক নেই।

বিশ^বিদ্যালয়টি ২০০৬ সালে পর্যন্ত টিএমএসএস’র ভাড়া নেয়া বিল্ডিং এ এইচ আই ফাউন্ডেশনের অধীনে পরিচালিত হওয়ার পর কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে এবং সে কারণে ২০০৬ সালে সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। ২০১১ সালে একবার এবং ২০১২ সালে একবার এইচ আই ফাউন্ডেশনের পূর্ণগঠন হয়ে একই নিবন্ধনে নিবন্ধিত হয়। পরবর্তিতে ড. হোসনে আরা বেগম বিশ^বিদ্যালয়টি দখলের জন্য নিজে নেতৃত্ব দিয়ে এবং তার এনজিও টিএমএসএস এর কিছু কর্মচারি নিয়ে পুন্ড্র ইংরেজি শব্দের শেষের বর্ণটিতে এ না লিখে ও লিখে একই বানান ও উচ্চারণের কাছাকাছি পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ট্রাস্ট নামে আরো একটি নিবন্ধন নেয়। এই নিবন্ধন নেয়াতে সংবাদ সম্মেলনকারি গোলাম রব্বানী অবৈধ বলে দাবী করেন। এছাড়া সংবাদ সম্মেলেন তিনি একাধিক মামলা ও মামলার পরে জেল হাজত খাটার বিস্তারিত বর্ননা প্রদান করেন। সেখানে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ প্রসঙ্গে তিনি অবৈধ বলে দাবী করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এইচআই ফাউন্ডেশনের সিগনেটরী হিসেবে তিনি ছিলেন না এবং এয়ার ফোর্স থেকে অবসর নেয়ার পরের বছর শিক্ষা ক্ষেত্রে জড়িয়ে পড়লে তার অনুমতি নিতে হয় না। তার দাবীকৃত পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি শেরপুর ক্যাম্পাসটি জেলা প্রশাসন থেকে উচ্ছেদ করা হয় বলে তিনি স্বীকার করেন। এছাড়াও তিনি বলেন তিনি কোন ছাত্র ভর্তি করাননি। সাংবাদিকরা আরো কিছু প্রশ্ন করলে তিনি সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। তবে এই সকল ঘটনার তিনি সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন