মান্দায় সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ অসহায় এক পরিবার | Daily Chandni Bazar মান্দায় সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ অসহায় এক পরিবার | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৮:৪৪
মান্দায় সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ অসহায় এক পরিবার
মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :

মান্দায় সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ অসহায় এক পরিবার

নওগাঁর মান্দায় যাতায়াতের রাস্তাসহ নির্মাণাধীন স্থাপনায় বাঁশের বেড়া ও নেটজাল দিয়ে ঘিরে অসহায় একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে এক সপ্তাহ ধরে ওই পরিবারের সদস্যরা বাইরে যেতে পারছেন না। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের তুলশিরামপুর গ্রামে। ঘটনায় মান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গ্রামের শ্যামাপদ সরকারের সঙ্গে প্রতিবেশি নরেন্দ্রনাথ সাহার বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) নরেন্দ্রনাথ সাহা ও তার লোকজন প্রতিবেশি শ্যামাপদ সরকারের যাতায়াতের পথে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। এতে করে পরিবারটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। 
ভুক্তভোগী শ্যামাপদ সরকার জানান, ‘নানা বানেশ্বর সরকারের কোন ছেলে সন্তান ছিল না। এ কারণে তিন মেয়ের সাত ছেলে ওয়ারিশ হন। তার মধ্যে আমিও একজন। আমি নিজের অংশসহ আরও ৫ ওয়ারিশের অংশ কিনে নিয়েছি। আমার খালাতো এক ভাইয়ের অংশ কিনেছেন প্রতিবেশি নরেন্দ্রনাথ সাহা। তিনি ক্রয়কৃত সম্পত্তি মাঠে দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন।’  

ভুক্তভোগী শ্যামাপদ সরকার আরও বলেন, বসতভিটায় ইটের পাকা স্থাপনা নির্মাণের সময় নরেন্দ্রনাথ সাহা সেখানে অংশ দাবি করেন। এনিয়ে উভয় পরিবারের মাঝে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। জের ধরে নরেন সাহা ও তার লোকজন আমার নির্মাণাধীন বাড়ির একাংশ বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়। এসময় যাতায়াতের পথসহ বাড়ির আশপাশের জায়গাতেও বাঁশের বেড়া আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এ ঘটনায় মান্দা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছি।

প্রতিপক্ষ নরেন্দ্রনাথ সাহা জানান, আমি শ্যামাপদ সরকারের নিকট থেকে সাড়ে ১৬ শতক ও তার এক ওয়ারিশের নিকট থেকে ১ বিঘা ১৫ কাঠা জমি ক্রয় করেছি। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ক্রয়কৃত জমির বুঝে নিয়ে সেখানে বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছি।মান্দা থানার পরিদর্শক তদন্ত তারেকুর রহমান সরকার জানান, বিষয়টি অবহিত হয়েছি। জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন