গোবিন্দগঞ্জ শিক্ষা অফিসের ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি ও ঘাবলাবাজির অভিযোগ | Daily Chandni Bazar গোবিন্দগঞ্জ শিক্ষা অফিসের ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি ও ঘাবলাবাজির অভিযোগ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২২:০৭
গোবিন্দগঞ্জ শিক্ষা অফিসের ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি ও ঘাবলাবাজির অভিযোগ
২৭০টি সরকারি প্রাঃবিদ্যালয় মেরামত সহ উন্নয়নমূলক কাজে
ষ্টাফ রিপোর্টার

গোবিন্দগঞ্জ শিক্ষা অফিসের ব্যাপক অনিয়ম 
দূর্নীতি ও ঘাবলাবাজির অভিযোগ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের ব্যাপক অনিয়ম,দুর্নীতি ও ঘাবলাবাজীর মধ্য দিয়ে শেষে করেন ২৭০টি সরকারী প্রার্থমিক বিদ্যালয়ের মেরামত সহ উন্নয়নমূলক কাজ।জানা গেছে,উপজেলা শিক্ষা অফিসে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের প্রায় দুই কোটি টাকার কাজে ব্যাপক অনিয়ম,দূর্নীতি ও ঘাবলাবাজী হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

ঐ অর্থ বছরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ২৭০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রুটিন ,দূর্যোগ,শিশু শ্রেনী,ক্ষুদ্র মেরামত,স্লিপ,ওয়াস ব্লক সহ আরো কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রায় পাচ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।বরাদ্দকৃত অর্থের টাকা থেকে প্রায় ৫০পার্সেন টাকা প্রায় আড়াই কোটি টাকা ২৭০ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যৌথ একাউন্ট সোনালী ব্যাংক গোবিন্দগঞ্জ শাখায় গত জুন মাসে ট্রান্সফার করেন শিক্ষা অফিসার। উক্ত টাকার কাজ সর্বোচ্চ ১ মাসের মধ্যেই শতভাগ সমাপ্ত করেছে।

এদিকে প্রধান শিক্ষকরা টাকা উত্তোলন করে বিদ্যালয়ের ভাঙ্গা-চুরা মেরামত না করেই নিম্নানের রং দিয়ে কাজ শেষ করেছেন। অধিকাংশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা পূর্বে বিদ্যালয়ে ব্যবহারিত ফ্যান,চেয়ার-টেবিল,ল্যাপটব এর কির্বোড সহ নানা প্রকার আসবাব-পত্র আবারো বরাদ্দকৃত টাকায় ক্রয় দেখিয়ে ভাউচার দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।অভিযোগ রয়েছে উন্নয়নমূলক কাজে বরাদ্দকৃত অর্থ নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে সিংহভাগ টাকা প্রধান শিক্ষক,সভাপতি ,ক্লাসলাষ্টার অফিসার ও শিক্ষা অফিসার সহ সংশ্লিষ্ঠরা ভাগ-বন্টন করে পকেটস্থ করায় সরকারের উন্নয়নমুলক কাজে বরাদ্দকৃত অর্থের মহৎ উদ্দেশ্যে ভেসতে গেছে ও সরকারের সুনাম নষ্ঠ হচ্ছে বলে অভিজ্ঞ মহলের দাবী উঠেছে।

উন্নয়নমুলক কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে সর্বত্র আলোচনা সমালচনার মুখে কিছু বিদ্যালয় প্রধান গণ শতভাগ কাজ না করলেও প্রসংসার দাবী রাখেন। কাজের মান হিসেবে ধারনা করা হচ্ছে বরাদ্দকৃত টাকার অর্ধেকের বেশি অর্থ দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।উপজেলা শিক্ষা অফিসের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২৭০ টি সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয়ে  বরাদ্দকৃত অর্থ ‘দূর্যোগ’প্রতিটি বিদ্যালয় ৫ হাজার টাকা,শিশু শ্রেনী ১০ হাজার টাকা,স্লিপ ৭০ হাজার টাকা(২০১ টি স্কুল),৫০ হাজার টাকা(১৫০টি স্কুল),রুটিন ৪০ হাজার টাকা (১৮৭টি স্কুল),ক্ষুদ্র মেরামত ২ লাখ টাকা(৭২ টি স্কুল) ও ১ লাখ ৫০হাজার টাকা(৩৩টি স্কুল) এবং ওয়াশ ব্লক পেয়েছে ২০ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রার্থমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ ।

একই ব্যাপারে কথা বলার জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে অফিসার রমজান আলীর দেখা না পেয়ে একাধিক বার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্ঠা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন না। এব্যাপারে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন,স্যার কাহারও ফোন রিসিভ করেন না।এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান দূর্নীতির কোন সুযোগ নাই যদি কেহ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন