শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী | Daily Chandni Bazar শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর, ২০২০ ০৫:১৩
শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী
নাজমুস সাকিব আপেলঃ

শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী

বগুড়া শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন সেকেন্দার আলী (৫৫)। তিনি আরো দাবী করেন যেহেতু গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দেয়ার কোন এখতিয়ার তার নেই, সেহেতু ওই নারী তার (সেকেন্দারের) কক্ষে আসার কোন যুক্তিই নেই। সেকেন্দার আলী আরো বলেন কোন একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে সন্মান হানির উদ্দেশ্যেই অভিযোগে তার নাম যুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহে ইউএনও শেরপুর বগুড়া বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত এক গ্রাম পুলিশ সদস্যর স্ত্রী। তিনি অভিযোগে দাবী করেন,২০১৮ সালের গ্রাম পুলিশ পদে নিয়োগ পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে গারীদহ ইউপি চেয়ারম্যান দবির উদ্দিন দেড় লাখ ও শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের সহকারি সেকেন্দার আলী দশ হাজার টাকা গ্রহন করেন। সম্প্রতি চাকুরীর বিষয়ে খোঁজ নিতে স্বামীর সাথে ওই নারী শেরপুর উপজেলা অফিস সহকারি'র কক্ষে গেলে অভিযোগকারী নারীর স্বামীকে কৌশলে চা আনতে বাইরে পাঠিয়ে সেকেন্দার আলী অভিযোগ কারী নারীকে কুপ্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার গ্রাম পুলিশে চাকুরী হয়নি।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, মে ২০১৮ সালের শেষ সপ্তাহে গ্রাম পুলিশ পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন মোছাঃ মরিয়ম। পরবর্তীতে জুন ২০১৮ সালের প্রথম সপ্তাহে গ্রাম পুলিশ সদস্য পদে নিয়োগ পেতে ভূয়া সার্টিফিকেট,আইডি কার্ড ও ভূয়া জন্মসনদ যুক্ত আবেদন বাতিল চেয়ে ইউএনও শেরপুর বরাবর আবেদন করেন উপজেলার ০২ নং গাড়ীদহ মডেল ইউনিয়ন পরিষদ এর দফাদার মোহাম্মদ আবু সাঈদ। জানাগেছে ২০১৮ সালের জুন মাসে ০৯ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা গ্রাম পুলিশ নিয়োগ সংক্রান্ত আবেদনপত্র যাচাইবাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মরিয়ম এর আবেদন পত্রে যুক্ত মরিয়মের জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ ১৯৭৩ ও জন্ম সনদে ১৯৮৯ থাকায় আবেদন কারীর বয়স জালিয়াতি'র চেষ্টা প্রমাণিত হওয়ায় তার আবেদনটি বাতিল হয়ে যায়।

অপরদিকে চাকুরী প্রতাশী ওই নারীর অভিযোগ পত্র পর্যালোচনা করে জানায়ায় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তার লিখিত অভিযোগ পত্রে সুনির্দিষ্ট তিনটি বিষয় উল্লেখ করলেও লিখিত অভিযোগের স্বপক্ষে কোন স্বাক্ষ-প্রমাণ উল্লেখ করেননী। গ্রাম পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর অভিযোগ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ লিয়াকত আলী বলেন অভিযোগ পেয়েছি। অপরাধী যেই হোক নিরপেক্ষ তদন্ত করে অবশ্যই ব‍্যবস্থা নেয়া হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন