প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০২১ ২১:১১

দাম নির্ধারণ না করে দেয়ায় মাংসের বাজারে অস্থিরতা

অনলাইন ডেস্ক
দাম নির্ধারণ না করে দেয়ায় মাংসের বাজারে অস্থিরতা

রাত পোহলেই ঈদ। ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে জমজমাট মাংসের বেচাকেনা। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) বিকেলে রাজধানীর মাংসের দোকান ঘুরে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। গরুর মাংস ৫৮০-৬০০ টাকা আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০-৯২০ টাকায়।

ঈদ উপলক্ষে মাংসের দাম বাড়ানোর অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলেছেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় বেচাকেনা বেশি হলেও নির্ধারিত দামেই মাংস বিক্রি হচ্ছে।

মাংস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাংসের দাম নির্ধারণ না করে দেয়ায় ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে পারছেন, মাংসের দাম বাড়িয়ে বাজার হরিলুট করছেন।

ইফতারের পর মিরপুর ১২ নম্বরে মাংস বিক্রেতা মান্নু মিয়া বলেন, সকাল থেকে ৮টা গরু জবাই করেছি। সব মাংস বিক্রি হয়ে গেছে। আরও তিনটা জবাই করা হবে। গরুর মাংস ৬০০ টাকা আর খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি করছি। এবার বেচাকেনা ভালো।

বিভিন্ন বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা বেশি রাখছেন বিক্রেতারা। ঈদে চাহিদা বাড়ায় রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লায় মৌসুমি ব্যবসায়ীদের মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে। আগে মাংসের বুকিং নিয়ে বিভিন্ন অলিগলিতে গরু কাটতেও দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা বেশি রাখছেন বিক্রেতারা। মুদি দোকানদার স্বপন মিয়া জানান, গত সপ্তাহে গরুর মাংস ৫৫০ টাকা ছিল। তখন ২ কেজি নিয়েছি। আর আজকে ৬০০-৬৫০ টাকা রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতিবার মাংসের দাম নির্ধারণ করা হলেও এবার তা করা হয়নি। এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মাংসের বাজারে হরিলুট চলছে দাবি করে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, ‘মাংসের এবার কোনো মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। মাংস বাজার অসাধু কারবারিরা নিয়ন্ত্রণ করছে।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি মাংসের দাম নির্ধারণ করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সভা করে। তবে মাংসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মাংসের বাজার অসাধু ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রণ করে। সরকার এসব ব্যবসায়ীর কাছে অসহায়। এখন মাংস ব্যবসায়ীরা যে, যেভাবে পারছেন জনসাধারণের পকেট কাটছেন।’.

দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে