ছিনতাইয়ের হাত থেকে বাঁচতে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ছিনতাইয়ের হাত থেকে বাঁচতে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ওই ছিনতাইকারি ড্রাইভারকে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি শাহ ফতেহ আলী নামের কোচটিও উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে বগুড়ার শেরপুরের মির্জাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সানজিদা সুলতানা স্বর্না (২৭) রাজধানীর ‘আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র (এআইইউবি) তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তিনি বগুড়ার উপশহর এলাকার আব্দুর রউফ তালুকদারের মেয়ে। আটক রনি মোল্লা (২৮) বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ি এলাকার রাজ মোল্লার ছেলে এবং পেশায় একজন পরিবহন চালক।
পুলিশের তথ্য সূত্রে জানা যায়, চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনের কারনে সানজিদার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এজন্য তিনি ঢাকা থেকে বগুড়া গামী শাহ ফতেহ আলী কোচে উঠেন। বাসটি শেরপুর উপজেলার ধুনকুন্ডি এলকায় ফুড ভিলেজ রেস্তরায় যাত্রা বিরতি দেয়। যাত্রীরা সবাই নেমে গেলেও সানজিদা সহ তিন জন মহিলা বাসেই অবস্থান করছিলেন।
এসময় আকষ্মিক রনি মোল্লা বাসে উঠে চালকের আসনে বসেন। তিনি বাসটি চালু করে বগুড়ার দিকে যাওয়া শুরু করেন। এতে বাসের ভিতরে বসে থাকা মহিলারা আতংকিত হয়ে পরেন। বাসটি শেরপুরের মির্জাপুর বাজারে আসলে সানজিদা চলন্ত বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে ছিনতাই হওয়া বাসটি উদ্ধার করেছে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা থানা পুলিশ। এসময় চালকের আসনে থাকা রনি মোল্লাকে আটক করা হয়। বাকি তিন জন যাত্রী নিরাপদে আছেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছন শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রনি একাই বাসটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছেন। তিনি পেশায় একজন গাড়ি চালক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাকে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করা হবে।
এ ব্যাপার শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম রেজা বলেন, ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।