প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:২৯
প্রকৃত অর্থে কোন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নেই, ৯৮ শতাংশ নিয়োগই হবে মেধায়- বগুড়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বগুড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনা ও সরকারি দপ্তর পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ষ্টাফ রিপোর্টার
২৬ জুলাই ২০২৪ বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর প্রধান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিং করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বগুড়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত কোটা সংস্কার করে মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্যে ৫% কোটার পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য ১% এবং তৃতীয় লিঙ্গ এবং প্রতিবন্ধীদের ১% কোটা রেখে রায় দেন। কিন্তু এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কারোরই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স আর নেই সেক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের কোন কোটায় এখন আর নেই। ৯৮ শতাংশ নিয়োগই হবে মেধার ভিত্তিতে। এমন একটি রায়ে তারা ভেবেছিলেন আন্দোলনকারীরা ধন্যবাদ দিবেন প্রধান বিচারপতি, বিচার বিভাগ এবং সরকারকে কিন্তু তা না করে জল অনেক দূর গড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর প্রধান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং এ তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেস ব্রিফিং এ মন্ত্রী আরো বলেন, যারা বাংলাদেশের জঙ্গির উত্থান চেয়েছিল, যারা কখনো এই বাংলাদেশের স্বাধীনতাই চাইনি তারা এই কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে সারাদেশে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে বগুড়াও সেখান থেকে বাদ যায়নি। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, ভাংচুর করা হয়েছে মুজিব মঞ্চ, জাসদ অফিস, ভূমি অফিস, ডাকঘর, রেলওয়ে স্টেশন ও থানা যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে যেখানে আওয়ামী লীগ যেখানে ছাত্রলীগ সেখানেই হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। শুধু তাই নয় বিক্ষোভকারীরা দেশের সম্পদ বিনষ্ট করেছে। হত্যা করেছে পুলিশ, আনসার সদস্য ও সাংবাদিকদেরও। তারপরেও তারা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন দ্রুতই সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
এর আগে দুপুর সাড়ে ৩টায় বগুড়ায় আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, র্যাব মহাপরিচালক, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু এমপি, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এমপি, বগুড়া ১ আসনের সাংসদ সাহাদারা মান্নান, বগুড়া ৪ আসনের সাংসদ রেজাউল করিম তানসেন, রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি, বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, র্যাব-১২ এর অধিনায়ক, কোম্পানী কমান্ডার মীর মনির হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে পরিদর্শন করেন আন্দোলনকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, শহরের সাতমাথার প্রধান ডাকঘর, সদর উপজেলা ভূমি অফিস ও সদর থানা। পরিদর্শন শেষে বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলার সকল দপ্তর প্রধান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।