প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০২৪ ০২:৫৫

গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে বগুড়া পৌরসভার মেয়র ও ৬ কাউন্সিলর

ষ্টাফ রিপোর্টার
গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে বগুড়া পৌরসভার মেয়র ও ৬ কাউন্সিলর
বগুড়া জেলার মানচিত্র

 শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার একাধিক মামলায় বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিমসহ (বাদশা) বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছয় কাউন্সিলরকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে বর্তমানে আত্মগোপনে আছেন তাঁরা। এতে পৌরসভার নাগরিক সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি, আত্মগোপনে থেকেও কৌশলে দাপ্তরিক কাজকর্ম করছেন এসব জনপ্রতিনিধি।

পৌরসভাটির ওই ছয় কাউন্সিলর হলেন এরশাদুল বারী এরশাদ (৮ নম্বর ওয়ার্ড), পরিমল চন্দ্র দাস (৬ নম্বর ওয়ার্ড), সিপার আল বখতিয়ার (১১ নম্বর ওয়ার্ড), এনামুল হক সুমন (১২ নম্বর ওয়ার্ড), রুস্তম আলী (২০ নম্বর ওয়ার্ড) এবং সংরক্ষিত (১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড) নারী কাউন্সিলর শিরিন আকতার। তাঁদের মধ্যে এরশাদুল বারী ও শিরিন আকতার জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। পরিমল চন্দ্র দাস জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বগুড়া শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের দুই দফা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন সিপার আল বখতিয়ার (বর্তমানে বহিষ্কৃত)। অন্যদিকে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বে আছেন এনামুল হক সুমন, ২০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদে আছেন রুস্তম আলী।

বগুড়া সদর থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৬ জুলাই বগুড়া শহরের সাতমাথায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ওই সময় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহদপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাজা বাদী হয়ে গত সোমবার বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা করেন। এতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশাসহ ৮৭ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগরকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উপরে