প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২৪ ২৩:৫৬

আমন চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে নন্দীগ্রামের কৃষকরা

১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
আমন চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে নন্দীগ্রামের কৃষকরা
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মাঠগুলোতে পুরোদমে আমনের চারা রোপনের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা। ছবিটি রিধইল মাঠ থেকে তোলা। - ফজলুর রহমান; চাঁদনী বাজার

ফজলুর রহমান, নন্দীগ্রাম, বগুড়া:  আমন চাষ একটি লাভজনক ফসল তাই আমন চাষাবাদে মাঠে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা। মাঠগুলোতে এখন পুরোদমে চলছে জমি প্রস্তুতসহ চারা রোপনের কাজ। রোপা আমনে খরচ কিছুটা কম হওয়ায় প্রতি বছরই লাভের মুখ দেখে চাষীরা, এবারও ভালো ফলন ও ভালো দামের প্রত্যাশা নিয়ে চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান চাষ হয়েছে,যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দেয় এবারও নন্দীগ্রাম উপজেলায় আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। এদিকে গত তিনদিন ধরে চলছে প্রখর রোদ, আর এই তীব্র রোদের কারণে জমির পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। তীব্র প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে অল্প পানিতেই হাল চাষ দিয়ে চারা রোপন করছে কৃষকরা। চলতি মাসের শুরুর দিকে টানা বৃষ্টিপাতে অনেক কৃষকরাই পানি শুকিয়ে যাওয়ার আশংকা করে আগেই ধান রোপন করেছেন। তড়িৎগতিতে চারা রোপনের কাজ সম্পূর্ন করলেও পানির অভাবে জমি শুকিয়ে চারা নষ্টের আশংকা করছেন অনেকেই।  বুড়ইল ইউনিয়নের কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন ‘‘জমিতে পানি নাই বল্লেই চলে, কোনমত সামান্য পানিতে জমি চাষ দিয়ে ধান লাগাচ্চি হামরা, পানি যদি না হয় তাহলে ধানের চারা লষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে’’। রোপা—আমন এটি একটি লাভজনক ফসল, এই রোপা আমনে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচে বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২০ মন ধান পাওয়া যায়। জুলাই থেকে শুরু করে আগস্ট পর্যন্ত ধান রোপন করে চাষীরা। আগাম জাতের ধান অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে কাটা শুরু হলেও নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ধান কর্তন শেষে কৃষকের ঘরে উঠে সোনালী ফসল। চলতি রোপা মৌসুমে ১৯হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে নন্দীগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উপজেলা কৃষি কর্মকতার্ গাজীউল হক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলা ভালো হয়েছে। মাঠজুড়ে কৃষকরা চারা রোপনে সময় কাটাচ্ছে। এবার ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে গত বছরের চেয়ে এবারও ভালো ফলন হবে বলে প্রত্যাশা করেন কৃষি কর্মকর্তা।

 

উপরে