প্রকাশিত : ২ আগস্ট, ২০২৪ ১২:৪৬

বগুড়ার শাজাহানপুরে সংবাদ সন্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সন্মেলন

প্রতিনিধি, শাজাহানপুর, বগুড়া-
বগুড়ার শাজাহানপুরে সংবাদ সন্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সন্মেলন
বগুড়ার শাজাহানপুরে খরনা ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা করেন। ১ আগস্ট, ২০২৪, ছবি: প্রতিনিধি

বগুড়ার শাজাহানপুরে সংবাদ সন্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা। ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টায় শাজাহানপুর উপজেলার ৫নং খরনা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান—২ আব্দুর রাজ্জাক ৩১ শে জুলাই ২০২৪ইং তারিখে প্যানেল চেয়ারম্যান—১ আলমগীর হোসেনর সংবাদ সম্মেলন এর বিরুদ্ধে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা করেন।
সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভায় আব্দুর রাজ্জাক লিখিত বক্তব্যে বলেন আলমগীর হোসেন গনমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে ঘটনা তুলে ধরে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন ও আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে অংশগ্রহণের জন্য খরনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান সাহীন ১৬এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।এসময় চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন প্যানেল চেয়ারম্যান—১ আলমগীর হোসেন। এরপর থেকেই শুরু হয় আলমগীরের সেচ্ছাচারিতা,ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে।আলমগীর হোসেন এক সময় এই খরনা ইউনিয়নের দূর্ধর্ষ ত্রাস ছিলেন, তিনি অস্ত্র মামলার আসামী,ডাকাতি, ভুমিদস্যু,ইট বালু মাটি ব্যবসার সিন্ডিকেট সহ জমিতে হালচাষে ব্যবহার করা ট্রাক্টর থেকে নিয়মিত চাদা আদায় করতেন।
গত ৫জুন ২০২৪ইং তারিখে আলমগীর হোসেন হজ্ব পালন করার জন্য ছুটি নেন বলে আমরা জানতে পারি।পরের দিন ০৬ তারিখে প্যানেল চেয়ারম্যান—২ আব্দুর রাজ্জাককে ইউনিয়ন পরিষদে রেজুলেশনের মাধ্যমে দায়িত্ব অর্পণ করেন।এরপর আলমগীর হোসেন হজ্বের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গেলে আমরা জানতে পারি সে কোন ছুটি গ্রহণ করেন নাই।এবিষয়ে আমরা ৮ জন সদস্য পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই।

এদিকে খরনা ইউনিয়নে উপ—নিবার্চনের তারিখ ঘোষণা ও মার্কা নির্ধারিত হওয়ার পর আলমগীর হোসেন প্রকাশ্যে একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নামেন এবং সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন।এতে পরিষদের সদস্য ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়।
উন্নয়ন সহায়তার ২য় কিস্তির বরাদ্দের টাকা সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বন্টন করায় পরিষদের ৮ জন সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন।
এরপর সহযোগীদের নিয়ে আলমগীর হোসেন পরিষদে আসেন এবং অন্যান্য সদস্যদের হুমকির মুখে রাখেন। সদস্যরা এর প্রতিবাদ করলে আলমগীর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিত ভাবে আমার এবং অন্য সদস্যদের উপরে হামলা চালায় এবং জাহিদুর নামের এক সদস্যকে মারপিট করে আহত করেন। অন্য সদস্যরা লাঞ্ছিত হয়ে পরিষদ থেকে বাহিরে যান। এই ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

উপরে