প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২৪ ১০:৫০

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বগুড়া ওয়াইএমসিএ স্কুলের আয় ব্যায় হিসাবের মনিটরিং সেল গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়াঃ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বগুড়া ওয়াইএমসিএ স্কুলের আয় ব্যায় হিসাবের মনিটরিং সেল গঠন
বগুড়া ওয়াইএমসিএ’র আন্দোলনরত শিক্ষার্থী। - ছবি- চাঁদনী বাজার
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অবশেষে বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অনিয়ম, দুর্ণীতি ও আয় ব্যায়ের হিসাব তদন্ত সহ কমিটি শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদানে গড়িমসি তদন্ত করতে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।  জানা যায়, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দু'জন শিক্ষক, শিক্ষকদের পক্ষ থেকে একজন অভিজ্ঞ এ্যাকাউন্টস অডিটর, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একজন অডিটর আগামী বুধবার  ২০১০ সালের পর থেকে সকল প্রকার আয়-ব্যয়ের হিসাব অডিটের কাজ শুরু করবেন। এক সপ্তাহ ধরে চলবে সকল প্রকার আর্থিক হিসাবের অডিটিং।  আর এই পুরো বিষয়টি মনিটরিং করবে শিক্ষক - শিক্ষার্থী - অভিভাবকদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি।  
 
যাচাই করা হবে  প্রতিষ্ঠানের ও শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকায় নির্মাণ করা পুরো একটি ছয়তলা কলেজ ভবন কি করে আবাসিক ফ্ল্যাট হিসেবে বিক্রি করা হয় বহিরাগতদের কাছে।  মি. মারান্ডি ও তাঁর পরিবার সেখানে কতো গুলো ফ্ল্যাটের মালিক বনে গেছেন কোন পলিসিতে! বিক্রি করা ফ্ল্যাট গুলোর টাকা গেলো কোথায়!
যাচাই করা হবে কতো গুলো বাস বিক্রি করা হয়েছে?  সেগুলো বিক্রির টাকা গুলো গেলো কার পেটে! 
 
এরমধ্যে প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান সকল প্রকার কমিটির তালিকা প্রদান করা হবে। যার প্রত্যেকটাতে মি. মারান্ডি ও তাঁর পরিবার - স্বজনেরা পদ নিয়ে বসে আছেন। 
 
শিক্ষার্থীদের যে সকল অভিযোগ তার সবটাই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। আর তা মনিটরিং করবেন শিক্ষক -শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সমন্বয় গঠন করা টিম।  
 
আগামী এক সপ্তাহ পর আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা হবে। সেইসাথে নিশ্চিত করা হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদানের তারিখ, চাকরির নিশ্চয়তার প্রমাণসহ সকল প্রকার দাবি আদায়ের সব শেষ পরিস্থিতি। 
উপরে