প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১১:১৯

বগুড়ায় হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবারের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত

জশনে জুলুসে হাজারো মুসুল্লির সমাগম
নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়ায় হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবারের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত
বগুড়া বারপুরে হক্বের দা’ওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার ও সুন্নতী জামে মসজিদের আয়োজনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের পূর্ব প্রস্তুতি চলাকালে। ছবি: ফরিদুল ইসলাম

সারা দেশের ন্যায় বগুড়ায় আনন্দ ও উদ্দীপনার সাথে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর হক্বের দা’ওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার ও সুন্নতী জামে মসজিদের আয়োজনে ১১ই রবিউল আউয়াল বাদ জোহর হতে ১২ই রবিউল আউয়াল ফজর পর্যন্ত জশনে জুলুস, ইসলামী আলোচনাসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে পবিত্র এই দিনটি উদযাপন করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। 
মুসলিম উম্মাহর শ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সা.) উনার জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ। সকল জগতের জন্য রহমত স্বরূপ শ্রেষ্ঠ নবীর আগমনের এই দিনটি অশেষ পুণ্যময় ও সকল ঈদের শ্রেষ্ঠ ঈদের দিন হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন মুসলিমরা। 
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে হক্বের দা’ওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার সুন্নতী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহাম্মাদ আলহাজ্ব এমএমডি. ইমাম আশরাফ আলীমুল্লহ্ সিদ্দীকীর নেতৃত্বে বাদ জোহর হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে জশনে জুলুস বা দা’ওয়াতী র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালীটি সিদ্দীক্বিয়া দরবার সুন্নতী জামে মসজিদ বারোপুর হতে বের হয়ে শহরের মাটিডালি থেকে বনানী ও বিশ্বরোডের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার মসজিদে গিয়ে শেষ হয়। দা’ওয়াতী এই র‌্যালীতে আশেকে রাসুলদের হাতে হাতে ছিল সকল হারাম বর্জনসহ জঙ্গীপনা মুক্ত দেশ জাতি তৈরির উদ্বুদ্ধকরণ ফ্লাগ—আর্ট ও ব্যানার। 
বাদ মাগরিব হতে ১২ই রবিউল আউয়াল ফজর পর্যন্ত আল্লাহপাক এবং উনার প্রিয় হাবীব হুজুর পাক (সা.) উনার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে নামাজ, পবিত্র কোরআন শরিফ হতে তিলাওয়াত, জিকির, মিলাদ—ক্বিয়ামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আমল—আক্বীদা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। প্রধান আলোচক ও সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পেশ ইমাম ও খতিব  মুহাম্মাদ আলহাজ্ব এমএমডি. ইমাম আশরাফ আলীমুল্লহ্ সিদ্দীকী। পবিত্র এই দিনে রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সকলের জন্য সেহ্রির ব্যবস্থা করা হয়। কর্মসূচির শেষে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে দেশ—জাতি—ইসলামের সার্বিক মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়। 

 

উপরে