প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০১:৪১
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের আয়া পদ ফিরে পেতে সাংবাদিক সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আয়া পদ ফিরে পেতে মঙ্গলবার সকালে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মোছা: শাহীন আরা। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আয়া পদে শজিমেক হাসপাতাল বগুড়ায় কর্মরত থাকা অবস্থায় আমার স্বামী আব্দুর রশীদকে ব্যক্তিগত কারনে তালাক প্রদান করায় আমার পিতার সহিত মনোমালিন্য হলে তিনি আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই সুযোগে আমার প্রথম স্বামী আমার পিতাকে মিথ্যা প্ররোচনায় প্রতি হিংসা বশত আমার বিরুদ্ধে আমার কর্মস্থলে অভিযোগ দায়ের করেন। একটি সময়ে আমি সরকারি চাকুরি হইতে সাময়িক বরখাস্ত হই। এমতাবস্থায় আমি হাইকোর্টে রিট পিটিশন করিলে দীর্ঘদিন মামলা চলমান থাকার পর আমি সরকারি চাকুরিতে পুন:বহাল হইবার রায় পাই। উক্ত রায়ের কপিসহ আমার কর্মস্থল শজিমেক হাসপাতালে যোগদান দাখিল করিলে মো: তোফাজ্জল হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) আমার যোগদানে বাধার সৃষ্টি করে সু- কৌশলে আমার নিকট মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। উল্লেখ্য যে, মো: তোফাজ্জল হোসেন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ২০০৬ইং সালে অত্র হাসপাতালে সর্বকনিষ্ঠ মতে নিয়োগপ্রাপ্ত হইলেও জেষ্ঠ্যতার বিধিলঙ্ঘন করে গ্রেডেশন লিষ্ট ছাড়ায় আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে উচ্চমান সহকারি, হেড এ্যাসিস্টেন্ট ও সর্বশেষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চ:দা:) পদে বিধি লঙ্ঘন করে বর্তমান আশীন অবস্থায় কর্মরত আছেন। তিনি ২০১৭ইং সাল হইতে হাসপাতালে নিয়োগ বাণিজ্য, পদোন্নতি/পদায়ন সংক্রান্ত কাজে আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে অর্থ গ্রহণ এবং বিভিন্ন কেনাকাটায় অনিয়ম কম্পিউটার মেরামত ও হাসপাতালে বিভিন্ন কম্পিউটার ক্রয় সংক্রান্ত কাজে অনিয়ম করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন অস্থায়ী নিয়োগে যেমন: দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ, র্যাপিড স্যামপল কালেকশন নিয়োগ, আউটসোর্সিং নিয়োগে নিজেদের লোকের নামে ঠিকাদার নিয়োগ করে জনপ্রতি ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা করে মোটা অংকের টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করেছে। পছন্দমত ঠিকাদারকে সিডিউলের তথ্য ফাঁস করে কাজ পাইয়ে দেওয়ার মাধ্যমে এই কয় বছরে নামে বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক বনেছেন। তার অবৈধকাজে বিরুদ্ধে কোন কর্মচারী প্রতিবাদ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছে। ঠিকাদারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয়ে সম্পূর্ণ অনিয়ম করে ঠিকাদারদের সঙ্গে বিধিবর্হিভূতভাবে জাপান ভ্রমন করেছেন এবং স্বপরিবারে কয়েকবার ওমরাহ হজ্ব পালন করেছেন। তার সিন্ডিকেটে অন্যতম সদস্য কে ফটোকপি মেশিন চালানোর জন্য সিঁড়ির নিচে একটি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। ইহাতে সরকারের কোন রাজস্ব জমা হয়নি। তিনি ডিউটি রোস্টারের নামে সিন্ডিকেটেরএর মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগে/স্থানে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়ে অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহন ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে। এছাড়াও ঢাকা ও বগুড়া গনপূর্ত এবং সরকারি কাঠের কারখানা বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের সাথে লিয়াজু করে উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়মের সহায়তার মাধ্যমে বড় অংকের অর্থ আদায় করে বিএমএর সভাপতি ডা: মোস্তফা আলম নান্নুকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে নানাবিধ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আওয়ামীলীগের দোসর, স্বেচ্ছাচারী, স্বার্থবাদী ও ষড়যন্ত্রকারী ও একজন বদমেজাজী অসত কর্মচারী। উল্লেখ্য যে, তিনি ক্ষমতার দাপটে বর্তমান প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন এবং পদায়িত প্রধান সহকারি কে সকল দায়-দায়িত্ব হস্তান্তর না করিয়া সরকারি বিধিবর্হিভূতভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও প্রধান সহকারির দায়িত্ব নিজ আয়ত্বে কুক্ষিগত করে রেখেছে । আরও উল্লেখ্য যে, আমার বিরুদ্ধে মামলা চলাকালীন সময়ে আমার চাকুরির যেন কোন ক্ষতি না হয় এই আশ্বাসে কয়েকদফায় মোট ৩,৮০,০০০/- (তিন লক্ষ আশি হাজার) টাকা গ্রহন করেছে। তার স্বাক্ষী আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্য সহ অনেকে আছেন। বর্তমানে আমার চাকুরি হইতে বরখাস্তাদেশ কোর্টের রায় পাওয়া সত্বেও তিনি আমার যোগদানের বাধা সৃষ্টি করছেন। তিনি আমার নিকট আরও টাকা দাবি করছেন যা আমার প্রদান করা সম্ভব নয়। আমি গরীব অসহায় একজন নগণ্য কর্মচারী এবং আমার স্বামী একজন প্যারালাইজড রুগী। বর্তমানে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে অসহায় দিন যাপন করছি। এমতাবস্থায় আমার চাকুরি পুর্ন বহাল করন সহ দূর্নীতিবাজ, বদমেজাজী ও চরিত্রহীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: তোফাজ্জল হোসেন, পিতা: মো: আফরেদ আলী, আদমদীঘি, বগুড়া এর অপসারন সহ বিচার দাবী করছি। সেই সাথে তার সিন্ডিকেটের সকল দূর্নীতিবাজদের অপসারন দাবি করছি।