প্রকাশিত : ৩ অক্টোবর, ২০২৪ ০২:৩৮

ভূরুঙ্গামারীতে ভেটেরিনারি ফিল্ড এ্যাসিস্ট্যান্টের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

উপজেলা সংবাদদাতা, ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রামঃ
ভূরুঙ্গামারীতে ভেটেরিনারি ফিল্ড এ্যাসিস্ট্যান্টের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের ভিএফএ (ভেটেরিনারি ফিল্ড এ্যাসিস্ট্যান্ট) রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার খামারি ও পল্লী প্রাণী চিকিৎসকরা বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। দুই যুগের অধিক সময় যাবত তিনি ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে কর্মরত আছেন। 
তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন লঙ্ঘন করা, সেবার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করা, অপচিকিৎসা দিয়ে প্রাণি মেরে ফেলা, অর্থ আত্মসাৎ করা, পল্লী প্রাণি চিকিৎসকদের অপমান ও অসম্মান করা। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
খামারি আসাদুল হক বলেন, একটি গরু অসুস্থ হলে রফিকুল ইসলাম চিকিৎসা করেন। গরুটি সুস্থ না হয়ে মারা যায়। ভিজিট বাবাদ দুই হাজার টাকা দিতে হয়েছে।
খামারি লক্ষণ চন্দ্র বলেন, খামারের একটি গরু পড়ে গিয়ে আঘাত পায়। চিকিৎসার জন্য রফিকুল ইসলামকে ডাকি। তিনি গরুটিকে স্টোকের চিকিৎসা দেন। পরে গরুটি মারা যায়।
রেজাউল করিম বলেন, ব্যবসায়িক সূত্রে একব্যক্তির নিকট কিছু টাকা পেতাম। তিনি রফিকুলের মাধ্যমে টাকা ফেরত দিতে সম্মত হন। রফিকুল ওই ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা নিয়েছেন কিন্তু আমাকে দেননি। এ বিষয়ে তাকে একটি উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
প্রাণি পল্লী চিকিৎসক ও কৃত্রিম প্রজনন কর্মী আব্দুস সালাম বলেন, সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার পরেও ভিএফএ জনসম্মুখে আমাকে অপদস্ত করেছেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা। আমি এসবের সাথে জড়িত নই।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আশিকুজ্জামান বলেন, রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সদ্য এই অফিসে যোগদান করেছি। অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
 
উপরে