প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর, ২০২৪ ০৩:৪৩

বগুড়া উপশহরের মসজিদ কমিটি দখলের অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বগুড়া উপশহরের মসজিদ কমিটি দখলের অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন
১৯ অক্টোবর শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে হাউজিং এস্টেট কল্যান সমিতি ও উপশহর জামে মসজিদ কমিটি জবর দখল- শীর্ষক সাংবাদিক সম্মেলনের পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন উপশহর এলাকার বাসিন্দা মোঃ রাশেদুর রহমান। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “প্রকাশিত সংবাদ সম্মেলনে বর্নিত সকল তথ্যই মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ফ্যাসিস্ট আব্দুল হান্নান ও তার দোসররা তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সম্পূর্ণ অসত্য তথ্য বনর্না করেছেন। আমি তার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। মূলত বগুড়া তথা উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ সরকারী আবাসিক এলাকায় বগুড়া উপশহর হাউজিং এস্টেট। এখানে সামাজিকভাবে ভদ্র সমাজের বসবাস। বগুড়া হাউজিং এস্টেটের বরাদ্দ গ্রহীতাদের নিয়ে ১৯৯১ সালে “ উপশহর হাউজিং এস্টেট সমিতি, বগুড়া, গঠন করা হয়। উক্ত সমিতি বিগত ১৭ বৎসর যাবৎ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর মোঃ আব্দুল হান্নান স্বেচ্ছাচারিতা, জবরদখল, অর্থলোপাট এবং সমিতির মূল গঠনতন্ত্র অমান্য করে নির্বাচনের নামে আওয়ামী স্টাইলে নির্বাচন না করে,উক্ত সমিতিকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। ইতিমধ্যে ছাত্র জনতার জুলাই আন্দোলণে দুর্নীতিবাজ আব্দুল হান্নান ও তার ছেলে চাঁদাবাজ আতিকুল ইসলাম আওয়ামী দোসর হওয়ায় তাদের নামে একটি হত্যা মামলা ও একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের হয়েছে। উপশহর এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা, রাস্তায় অপর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতি, নাইট গার্ড না থাকাসহ নানান অসঙ্গতীর কথা জানাতে এবং তার আশু সমাধানের জন্য এলাকার সচেতন লোকজন আমার নিকট অভিযোগ নিয়ে আসে। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহের ১৪ অক্টোবর তারিখে সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব মামুনকে মৌখিক ভাবে অবগত করে গত শুক্রবার ১৮ অক্টোবর তারিখে বাদ আসর সমিতির অফিসে আলোচনায় বসার কথা জানালে তিনি সমিতির সভাপতির সাথে আলোচনা করে জানাবেন বলে জানান। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর তারিখে বিষয়টি জানার উদ্দেশ্যে এবং শুক্রবারে যে আলোচনায় বসা হবে তা নিশ্চিত করার জন্য সাধারণ সম্পাদককে ফোন দিলে তিনি কোন ফোন ধরেন না। অন্য মোবাইল থেকে ফোন দিলে তিনি আলোচনায় বসার ব্যাপারে সম্মতি জানান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ১৮ অক্টোবর তারিখে বাদ জুম্মা বর্তমান কমিটির সদস্য জনাব আজাহার আলী আমাদেরকে জানান যে অভিযোগ কারীদের না নিয়ে আপনারা ৪(চার) জন এবং আমরা ৪(চার) জন মিলে আলোচনায় বসার প্রস্তাব করেন। সেই মোতাবেক উক্ত দিনে বাদ আসর আমরা ৪(চার) জন সদস্য নিয়ে সমিতির অফিসে যাই। দীর্ঘ্য সময় অপেক্ষার পর তাদের সংগে যোগাযোগের চেষ্টা করে কোন সাড়া না পাওয়ায় এবং তাদেরকে নানাভাবে অনুরোধ করে সমিতির চাবি না পাওয়ায় স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে অবগত করে সমিতির অফিসে প্রবেশ করি এবং বিদ্যমান সমস্যা ও তার সমাধানের জন্য আলোচনা করি। এই ফ্যাসিস্ট হান্নান অবৈধ পন্থায় জাল বরাদ্দপত্র সৃষ্টি করে প্রথমে গত ০৯ জুন ১৯৯০ তারিখে সি-১১ প্লটটি বরাদ্দ নেয়। সেই অবৈধ বরাদ্দটি বিগত ২৬ জানুয়ারি ১৯৯১ইং তারিখের বরাদ্দকরণ কমিটির ৪নং সভার সিদ্ধান্ত মেতাবেক হাউজিং এস্টেটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্তৃক বতিল বলে ঘোষিত হয়(কপি সংযুক্ত)। গত ২৬মে  ২০০৮ইং তারিখে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ,বগুড়া কর্তৃক প্লট-১১ থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়(কপি সংযুক্ত)। গত ২৮ অক্টোবর ২০১৩ইং তারিখে উপ-পরিচালক, ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা কর্তৃক উপশহর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান গেইটের জন্য রক্ষিত জায়গা সি-১১ প্লট হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ প্রদান করে। এরপরেও এই অবৈধ দখলধারী আঃ হান্নান কোন প্লট তো পান নি বরং স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এর সহযোগিতায় প্রশাসনকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে বিগত ১৭ বৎসর যাবৎ সে এবং তার অপকর্মের দোসররা হাউজিং এস্টেট সমিতি কুক্ষিগত করে রেখেছে এবং বিগত ২ বৎসর যাবৎ এলাকার প্লট মালিকদের সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই নাইট গার্ড ব্যবস্থা বন্ধ ও সমিতির অফিস বন্ধ করে রেখেছে। কলে এলাকাবাসী তাদের নিরাপত্তাহীনতা, বাসাবাড়িতে চুরি বৃদ্ধি, রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য আমার নিকট আলোচনার প্রস্তাব দেয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “এই অসৎ চরিত্রের আওয়ামী দালাল আঃ হান্নান বয়স্কো মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিজেকে কবিরাজ বলে প্রচার করে বিগত ১৭ বৎসর যাবৎ লালসালুর ব্যবসার আড়ালে মসজিদের একটি কক্ষে যৌন উত্তেজনা বর্ধক ঔষধের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে যাহা সমাজের উচ্চ বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গ ও সেই সংবাদ সম্মেলণে তার পাশে বসা ব্যক্তিরাই তার নিয়মিত খরিদ্দার। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এই ফ্যাসিস্ট আব্দুল হান্নান তার সংবাদ সম্মেলনে যে প্রতিবেদন পাঠ করেছেন তারই বর্ননা মতে গত জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে সমিতির মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। সেই মোতাবেক তার আর সভাপতির পদে থাকার কথা নয় এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হবার ২ মাস পূর্বেই এডহক কমিটি গঠন করে দেবার কথা। কিন্তু তিনি এবং তার নোসররা সে বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। সমিতির মূল গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই সমিতির নাম ছিল“ উপশহর হাউজিং এস্টেট সমিতি, বগুড়া এবং মূল গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ থাকবে ২ বৎসর অথচ কোন এক হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য স্বঘোষিত, স্বশিক্ষিত দুর্নীতিবাজ আঃ হান্নান যার পূর্বের গঠন তন্ত্র অনুযায়ী সমিতির সদস্য হবার যোগ্যতাই নাই, তিনি প্রকৃত প্লট মালিকদের সাথে কোন আলোচনা ও সম্মতি ছাড়াই, কাউকে না জানিয়ে নতুন করে সমিতির গঠনতন্ত্র রচনা করে সমিতির নাম পরিবর্তন করে “ হাউজিং এস্টেট কল্যাণ সমিতি" নামে নতুন নামকরণ করে এবং তার সুবিধামত কমিটির মেয়াদ করে ৩ বৎসর যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও মূল গঠনতন্ত্র বিরোধী।” খবর বিজ্ঞপ্তির
 
উপরে