বগুড়ায় ঔরসজাত পুত্রের হামলার শিকার হয়ে মৃতশয্যায় বাবা: থানায় এজাহার
বগুড়ায় জমি-জমা সংক্রান্তের জের ধরে নিজের ঔরসজাত সন্তানের দ্বারা হামলার শিকার হয়ে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রয়েছেন বাবা আব্দুর রহমান। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার কুপতলা গ্রামে। আর এ ঘটনায় সহোদর ভাই সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে সারিয়াকান্দি থানায় এজাহার দায়ের করেছেন আপন বোন আব্দুর রহমানের বড় মেয়ে মোছাঃ রোখসানা আক্তার। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কুপতলা উত্তরপাড়া এলাকার আব্দুর রহমান প্রতিদিনকার মতো শুক্রবার রাতের খাবার শেষ করে ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে রাত সাড়ে এগারটার দিকে তার পুত্রদ্বয় যথাক্রমে আব্দুর রশিদ রতন ও রিমন, মৃত দুলাল প্রাং এর ছেলে সাখাওয়াত হোসেন, পুত্রবধু রুমানা খাতুন, মৃত লাল মিয়ার পুত্র অনোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন এর স্ত্রী মমতাজ বেগম সহ আরো বেশ কয়েকজন দলবদ্ধ হয়ে হাতে লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও গাছের শুকনা ডালের লাঠি নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনার মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করে রহমানের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। এসময় রহমান প্রতিবাদ করলে আসামীরা তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রহমানকে বেধড়ক পিটুনি দিতে থাকে এবং এক পর্যায়ে সাবল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে গুরুত্বরভাবে আহত হয়ে রহমান মাটিতে লুটিয়ে পরে। এরপর তারা শরীরে বিভিন্ন অংশে মারপিট করে ছিলা, ফোলা, কালশিরা ও রক্তাক্ত জখম করে। তারপর রহমানের স্ত্রী রিতা ও মেয়ে মোবাশি^রা বাঁাচাতে এগিয়ে আসলে আসামীরা তাদেরকেও বেদম মারপিট করে গুরুত্বর ভাবে আহত করে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায় এবং পরবতীর্তে সুযোগমত পাইলে কুপিয়ে হত্যা করবে মের্ম শাসিয়ে যায়। এরপর এলাকাবাসীরা তাদের উদ্ধার করে সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে্্র ভর্তি করে দেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শজিমেক এরেফাডর্য করে দেয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আব্দুর রহমান এখনও আশঙ্কাজনব অবস্থায় রয়েছে। যেকোন সময় বড়ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্ক রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছে। এদিকে মামলার বাদি রোখসানা আক্তার জানিয়েছেন তারা ৭টি পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে তিনি প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।