প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ২৩:০৮

বগুড়ায় সৃজনশীল নানা উদ্ভাবন নিয়ে বিজ্ঞানমেলা অনুষ্ঠিত

সঞ্জু রায়, বগুড়াঃ
বগুড়ায় সৃজনশীল নানা উদ্ভাবন নিয়ে বিজ্ঞানমেলা অনুষ্ঠিত
বগুড়ায় রবিবার বীট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শতাধিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর প্রজেক্ট প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় বিজ্ঞান মেলা।- সঞ্জু রায়/ চাঁদনী বাজার
ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল নানা উদ্ভাবন আর দূরদর্শী নানা স্বপ্নের সম্ভারে বগুড়া বীট মডেল স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিজ্ঞান মেলা। ১০০ টিরও বেশি প্রোজেক্টের মাধ্যমে রবিবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে শুরু হবা সেই মেলায় ক্ষুদে বিজ্ঞানীরুপে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা প্রদর্শন করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর মহাকাশ সংক্রান্ত নানা উদ্ভাবন যা মুগ্ধ করে অভিভাবক ও দর্শনার্থীদেরও। একদিকে যখন শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান নির্ভর শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হচ্ছেন অন্যদিকে মা-বাবাও তাদের মাঝে স্বপ্ন দেখছেন সমৃদ্ধ আগামীর। 
বীট স্কুল ক্যাম্পাসেই আয়োজিত এই মেলায় শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ দেখে মুহূর্তেই মনে পড়ে গেলো আমির খান অভিনীত 'থ্রি ইডিয়টস' ছবিতে দেখানো লাদাখের ফুনসুকওয়াংডুর সেই স্কুলের কথা যেখানে শিক্ষার্থীদের ভাললাগাকে গুরুত্ব দিয়ে খেলার ছলেই তৈরি করে দেয়া হয় জীবনে এগিয়ে যাওয়ার সিঁড়ি। ঠিক কিছুটা এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে এই বিজ্ঞান মেলাতেও। 
ছোট ছোট শিক্ষার্থী যাদের সমবয়সীদের অনেকেই যখন মোবাইল কিংবা টিভিতে আসক্ত তখন তারা কাজ করছেন বিজ্ঞানভিত্তিক নানা প্রজেক্ট নিয়ে। কেউ বানিয়েছেন চোর কিংবা অপরিচিত ব্যক্তি শনাক্তে লেজার এলার্ম, কেউবা সোলার প্যানেল দিয়ে ইমারজেন্সি পাওয়ার সাপ্লাই যন্ত্র আবার কেউ বানিয়েছেন ড্রোনের বিকল্প রিমোট কন্ট্রোল বিমান। এছাড়াও মেলায় দেখা মেলে সৌরজগৎ মডেল, ওয়াটার ডিসপেন্সার, রেইন এলার্ম, স্বয়ংক্রিয় ড্রেনেজ ক্লিয়ার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, হাউজ রোভার এর মতো নানা প্রোজেক্টের।  
খুদে শিক্ষার্থীদের এমন উদ্ভাবনে মুগ্ধ অভিভাবক এবং মেলায় আগত দর্শনার্থীরাও। বলছেন তথ্যপ্রযুক্তির এযুগে বিজ্ঞান নির্ভর শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সন্তানদের এমন সাফল্যে তাইতো সন্তুষ্ট তারা। 
আর আয়োজন প্রসঙ্গে বীট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন সৈকত বলেন, প্রতিবছর এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিকশিত হয় শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধাসত্ত্বার আর উন্মোচিত হয় সম্ভাবনাময় আগামীর। এমন উদ্ভাবনী যাত্রাকে তারা এগিয়ে নিতে চান আরো বহুদূর। তিনি বলেন, যে কোনো চেষ্টা এক দিনের জন্য নয়৷ উদ্ভাবন ও চেষ্টার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে৷ শুধু পাঠ্য বই নয় বরং বইয়ের বাইরের বিচিত্র বিষয় নিয়েও উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে৷ আগামীর প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীকে এই শিক্ষার্থীরাই নেতৃত্ব দেবে৷ তাই তাদের প্রতিষ্ঠানে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন লেখাপড়ার পাশাপাশি বর্তমান যুগের সাথে চলতে প্রয়োজনীয় সকল দক্ষতা শিক্ষার্থীদের মাঝে গড়ে তোলার জন্যে।
সকাল থেকে শুরু হওয়া এই বিজ্ঞানমেলায় অংশ নেয় প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। প্রজেক্ট পরিদর্শন শেষে দুইটি বিভাগে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী দলকে পুরস্কৃতও করা হয়। 
উপরে