প্রকাশিত : ৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১৪:২৪
বগুড়ায় র্যাবের যৌথ অভিযানে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ৪ আসামী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়ায় গতকাল র্যাব-১২ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানাজায় যে, সোনাতলা উপজেলার লোহাগাড়া এলাকায় ভিকটিম সহিদ (১৬) এর পরিবারের সাথে আসামীদের পায়ে হাঁটার রাস্তাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে গত ৬ আগস্ট ভিকটিম সহিদকে তার আপন চাচাসহ অন্যান্য আসামীরা বাঁশের লাঠি, লোহার রড, হাসুয়া, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভিকটিমের বাড়িতে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে হাসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
পরবর্তীতে রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন অংশে আসামীরা এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট করে। ভিকটিমের ডাক চিৎকারে তার মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও আসামীগনরা হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে পাড়া প্রতিবেশীরা উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে আসামীগণ বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
তৎপর প্রতিবেশীরা ভিকটিমদের উদ্ধার করে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর ও আশংকা জনক হওয়ায় উপজেলা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। চিকিৎসারত অবস্থায় ভিকটিম সহিদ (১৬) গত ১২ আগস্ট (শজিমেক) হাসপাতালে মৃত্যবরণ করে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বগুড়া সোনাতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই হত্যাকান্ডের ঘটনায় বগুড়া জেলাসহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
উক্ত ঘটনার পরপরই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করতে মাঠে নামে র্যাব-১২ বগুড়ার একটি চৌকস গোয়েন্দা টিম। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে সর্বাত্মক ছায়া তদন্তের অভিযান শুরু করা হয়। উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে ০৭ নভেম্বর দিবাগত রাতে পৌনে ১২টার সময় র্যাব সদর দপ্তর ইন্ট উইং এর সার্বিক সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ বগুড়া এবং র্যাব-১ গাজীপুরের যৌথ অভিযানে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার কাঞ্চন কান্দাপাড়া গ্রামের জামান মোল্লার বসত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান ০৪জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত আসামীরা বগুড়া সোনাতলা উপজেলার লোহাগাড়া (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের আব্দুস ছমাদের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫), শরিফুল ইসলাম (২৮), একই উপজেলার মুরাব পটল গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে আল-আমিন(৩৫), গাবতলী উপজেলার তেলিহাটা গ্রামের মৃত হানিফ শাহ ছেলে নুরন্নবী শাহ @ চেংটু (৩৫)। তবে ধৃত আসামীরা মামলার সাজা এড়াতে স্থানীয় আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশী হতে নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করে বিভিন্ন কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্ম গোপনে ছিল।
এবিষয়ে র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার (মেজর) এহতেশামুল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানায় যে, উক্ত আসামীগনদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত বিধি-ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিকটস্থ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।