প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৫ ১৭:২০

বগুড়ায় হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবারের উদ্যোগে হাজার রজনীর শ্রেষ্ঠ রজনী পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়ায় হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবারের উদ্যোগে হাজার রজনীর শ্রেষ্ঠ রজনী পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত
বগুড়ায় হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার ও মসজিদের প্রধান সড়ক। ছবি- সংগৃহিত

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ইবাদতের মধ্য দিয়ে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সারা দেশের ন্যায় বগুড়ার বরোপুরে অবস্থিত হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার সুন্নতী জামে মসজিদে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালন করা হয়। পবিত্র এই লাইলাতুল কদরের রাতেই আসমানী কিতাব পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়। তাই প্রতিটি মুসলমানের কাছে এই রাত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও মহাসম্মানিত হিসেবে পরিগণিত। প্রতি বছরের মতো এই রাতে বগুড়ার সুন্নতী জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও পেশ ইমাম মুহাম্মাদ এম.এম.ডি. ইমাম আশরাফ আলীমুল্লহ্ সিদ্দীকীর তত্ত্বাবধানে তারাবীহ্ সালাত, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত, জিকির-ফিকির, নামাজ, মিলাদ-ক্বিয়াম ও লাইলাতুল কদর এর ফজিলত ও গুরুত্ব আলোচনার মধ্য দিয়ে রাত্রীজাগরণ করা হয়।

এই মহামান্বিত রজনীতে পেশ ইমাম মুহাম্মাদ এম.এম.ডি. ইমাম আশরাফ আলীমুল্লহ্ সিদ্দীকী আলোচনায় বলেন, ‘‘পবিত্র কোরআন শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, অন্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, শবে কদরের ইবাদতে তার চেয়ে হাজার গুন বেশি সওয়াব অর্জিত হয়। তাই সকল মুসলিমের উচিত এই বিশেষ রজনীতে সারা রাত জেগে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগী করা।’’ তিনি আরোও বলেন, “তারাবীহ্ নামাজ অবশ্যই ২০ রাকায়াত। যা কোরআন-হাদীছ-ইজমা-কিয়াস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও প্রমানিত। এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াবেন না।”

এ সময় মুসল্লিরা অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং দেশ-জাতির সার্বিক মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করেন।

উপরে