দশম শ্রেণির ছাত্রের মারধরে প্রধান শিক্ষক আহত, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

বগুড়ার আদমদীঘিতে শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধ করায় প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে দশম শ্রেণির ছাত্র হৃদয় হোসেনের বিরুদ্ধে। এতে ওই শিক্ষক গুরুতর আহত হন। ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কৈকুড়ি রহিম-মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ে। আহত শিক্ষক আতিয়ার রহমান বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষক জানান, কিছুদিন আগে ছাত্র হৃদয় হোসেনকে ক্লাসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেন তিনি। এতে হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে অফিসে এসে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে বিষয়টি শিক্ষক পরিষদে আলোচনা হয়, যেখানে হৃদয়ের ফুফু ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দুলালী খাতুনও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান শিক্ষক জানান, গত ৩০ এপ্রিল রাতে তিনি নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে পুকুরে মাছের খাবার দিতে গেলে হৃদয় তার মায়ের সামনে গিয়ে তাকে মারধর করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
পরদিন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী আম্বিয়া আক্তার আদমদীঘি থানায় হৃদয়, তার বাবা, মা ও ফুফু দুলালী খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় সোমবার (৫ মে) দুপুরে কৈকুড়ি রহিম-মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ছাড়াও শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আবুল কালাম আজাদ, তিলোচ শিববাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।
বক্তারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলায় অভিযুক্ত হৃদয়ের মা ও ফুফু জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। হৃদয় ও তার বাবাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।