বগুড়ায় হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি

আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও সামাজিক মাধ্যমে পরিচিত মুখ আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে ঘুমের ওষুধ সেবনের মাধ্যমে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে।
ব্যক্তিগত হতাশা থেকেই আত্মহত্যার চেষ্টা
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে হিরো আলম ধুনট উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি গ্রামে বন্ধু নাট্যকার জাহিদ হাসান সাগরের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানেই গভীর রাতে ‘রিয়া মনি’ নামের এক তরুণীকে ঘিরে হিরো আলম ও তার বন্ধুর মধ্যে দীর্ঘসময় কথোপকথন হয়।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে জাহিদ তাকে ঘুম থেকে ডাকতে গিয়ে সাড়া না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এ সময় বিছানার পাশে ঘুমের ওষুধের পাতা পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
বন্ধুর মন্তব্য
জাহিদ হাসান সাগর জানান, “দীর্ঘদিনের বন্ধু হিরো আলম কিছুটা হতাশায় ছিলেন। রিয়া মনিকে না পাওয়ার বিষণ্নতা, সামাজিক চাপ এবং মানুষের নেতিবাচক মন্তব্য তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘যেখানে যাই, মানুষ বিরক্ত করে, প্রশ্ন করে।’ তাই কিছুদিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কাটানোর জন্য তিনি আমার বাড়িতে এসেছিলেন।”
চিকিৎসকের বক্তব্য
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, “হিরো আলম ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে রেফার করি। তার সঙ্গীরা শুরুতে তাকে স্থানান্তরে কিছুটা অনাগ্রহ দেখালেও পরে রাজি হন। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত।”
সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন, আবার কেউ কেউ অনলাইন ট্রলিং এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির দাবি তুলছেন।