বগুড়ায় পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ, জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা এবং জানমালের নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বগুড়ার মালতীনগর পাইকারপাড়ার বাসিন্দা মারিয়া মাহফুজ। সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, তার বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষে থাকা আত্মীয়রাই এখন সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টায় লিপ্ত।
সংবাদ সম্মেলনে মারিয়া মাহফুজ জানান, তার পিতা এস.এম মাহফুজুল আলম ডন ২০০৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে এবং মাকে রেখে যান। পিতার মৃত্যুর পর তার চাচাতো ভাইয়েরা ‘অভিভাবক’ হিসেবে সম্পত্তির দেখভাল শুরু করলেও পরে তারা সম্পত্তির প্রতি লোভী হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, এস.এম আজহার আলীর দুই ছেলে এস.এম মনিরুল আলম জুন ও এস.এম মঞ্জুরে আলম মুন তার বাবার প্রথম স্ত্রীর সন্তান নুরুন নবী নয়নকে তার বাবার সন্তান হিসেবে পরিচয় দিয়ে একটি ভুয়া দলিল তৈরি করে সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নেয়। অথচ নয়নের জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাগত সনদে বাবার নাম রয়েছে ‘মো. আব্দুল খালেক’। তাই তিনি এস.এম মাহফুজুল আলমের সন্তান নন বলে দাবি করেন মারিয়া মাহফুজ।
তিনি আরও জানান, সম্পত্তি বিক্রির উদ্যোগ নিলে জুন ও মুন ক্রেতাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বাধা দেয়। পরে তারা নিম্ন আদালতে একটি অস্থায়ী ও স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করে (মামলা নং-১০১/২৪)। আদালত দীর্ঘ শুনানির পর তাদের পরিবারের অনুকূলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আদেশ দেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ পুনরায় উচ্চ আদালতে আপিল করে (মামলা নং-৪৭/২৫), যা এখনো চলমান।
মারিয়া মাহফুজ বলেন, “আমরা নিজের দখলীয় জমি মাপযোগ করতে গেলে প্রতিপক্ষ থানায় অভিযোগ করে এবং থানা থেকে আমাদের জমি মাপতে নিষেধ করা হয়, যা আদালতের রায়কে অমান্য করার সামিল। বর্তমানে আমরা মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, একইসাথে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দ্রুত প্রকৃত তথ্য তদন্ত করে জাল দলিল বাতিল, সম্পত্তির সুরক্ষা এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।