প্রকাশিত : ৩ জুলাই, ২০২৫ ০০:১৬

বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলনের পাল্টা প্রতিবাদ জানিয়েছেন এস এম মনিরুল আলম ও এস এম মুনজুরে আলম

খবর বিজ্ঞপ্তিঃ
বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলনের পাল্টা প্রতিবাদ জানিয়েছেন এস এম মনিরুল আলম ও এস এম মুনজুরে আলম

গত ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে বগুড়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মারিয়া মাহফুজ (ডায়না) কর্তৃক প্রকাশিত সংবাদে উল্লিখিত বিষয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন এস এম মনিরুল আলম (জুন) এবং এস এম মুনজুরে আলম (মুন)। তারা সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন, মারিয়া মাহফুজ (ডায়না) উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেছেন যা তাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে এবং আর্থিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করেছে।

এস এম মনিরুল আলম (জুন) জানান, ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত সংবাদে তাঁর বিরুদ্ধে জমি আত্মসাৎ বা অন্যায়ভাবে দখল করার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা মৃত এস এম মাহফুজুল আলম (ডন) এর ঔরশজাত সন্তান মোঃ নুরুন নবী নয়ন এর কাছ থেকে জমি ক্রয় করে বর্তমানে স্বত্ত্বাধিকারী এবং ভোগদখলে রয়েছি। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।"

এছাড়া, তারা উল্লেখ করেন যে, মৃত ইসহাক আলী শাহ্ এর সম্পত্তির ব্যাপারে ২০১৪ সালে জমির হস্তান্তরের সময়, সঠিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে এবং ২০১৭ সালে নোটারী পাবলিকের এফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের স্বত্ব দখল স্বীকার করা হয়েছে। গত ২৫ মার্চ ২০২৫ তারিখে আদালত কর্তৃক দেওয়া আদেশে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

এদিকে, সাংবাদিক সম্মেলনে এস এম মনিরুল আলম (জুন) এবং এস এম মুনজুরে আলম (মুন) দাবি করেন যে, "মারিয়া মাহফুজ (ডায়না) এবং তার পরিবারের সদস্যরা আদালতে চলমান মামলা প্রভাবিত করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।" তারা আরও জানান, "পুলিশ-প্রশাসন এবং আইনী বিভাগকে ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যা আইনগত কার্যক্রমে বাঁধা সৃষ্টি করছে।"

পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও বলেন, "আমরা প্রশাসনের কাছে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ন্যায়বিচারের আবেদন জানাচ্ছি।"

তাদের দাবি, মারিয়া মাহফুজ (ডায়না) সংবাদ সম্মেলনে যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং তাদের বিরুদ্ধে খারাপ উদ্দেশ্যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।

এ ঘটনায় প্রশাসনের নিকট একযোগভাবে ন্যায়বিচার ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে তারা বলেন, "আমাদের সামাজিক মর্যাদা এবং পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।"

এ বিষয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের দিকে নজর রাখা হবে।

উপরে