প্রকাশিত : ৫ জুলাই, ২০২৫ ২০:৫৬

বগুড়ায় উলামা সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম খান: ইসলামপন্থীদের জন্য নির্বাচনে সর্বোচ্চ ছাড় দিতে প্রস্তুত জামায়াত

খবর বিজ্ঞপ্তির
বগুড়ায় উলামা সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম খান: ইসলামপন্থীদের জন্য নির্বাচনে সর্বোচ্চ ছাড় দিতে প্রস্তুত জামায়াত

“বৃহত্তর ইসলামপন্থী ঐক্যের স্বার্থে জামায়াতে ইসলামী জাতীয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ আসনে ছাড় দিতে প্রস্তুত”—শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার ঐতিহাসিক টিটু মিলনায়তনে আয়োজিত এক বিশাল উলামা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, “দেশের সকল ইসলামপন্থী দল ও পীর-মাশায়েখদের নিয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গঠনের প্রচেষ্টা চলছে। জামায়াত অতীতের যেকোনো আসনে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে বৃহত্তর ইসলামী ঐক্য গঠনে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।”

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবের পর একটি দল নিজেকে দেশের অঘোষিত মালিক ভাবতে শুরু করেছে। প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাও একদলীয় আনুগত্য প্রদর্শন করছেন। নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকার আলেম-উলামাদের দমন করেছে। অথচ সেই জেলখানায় বসেই আলেম সমাজ ঐক্যের ভিত্তি গড়েছেন। আগামী নির্বাচনে সেই ঐক্যের বাস্তব রূপ জাতি প্রত্যক্ষ করবে ইনশাআল্লাহ।”

রফিকুল ইসলাম আরও দাবি করেন, “জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যার সঙ্গে জড়িত বিচারক, আইনজীবী ও সাক্ষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করে শহীদদের সঙ্গে বেঈমানি জনগণ মেনে নেবে না।”

সম্মেলনে ইসলামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রতিটি মসজিদ হতে হবে দাওয়াত ও ঐক্যের কেন্দ্রবিন্দু। ইসলামি মূল্যবোধ ও আল্লাহর আইনের ভিত্তিতেই গড়ে উঠতে পারে শান্তিপূর্ণ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।”

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উলামা-মাশায়েখ পরিষদ বগুড়া মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা আলমগীর হুসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, প্রফেসর ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ, ড. খলিলুর রহমান মাদানী, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামী বগুড়া জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় আলেম-উলামাগণ এবং বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতারা। সম্মেলনে ১০-দফা ঘোষণা পাঠ করে শোনানো হয় এবং শেষ হয় দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে।

সঞ্চালনায় ছিলেন উলামা-মাশায়েখ পরিষদের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল বাসেত ও মহানগর সেক্রেটারি ড. আবু সালেহ মামুন।

উপরে