প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২৫ ০০:৫০

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দাদি ও ভাবিকে গলাকেটে হত্যা, প্রধান অভিযুক্ত সৈকত গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দাদি ও ভাবিকে গলাকেটে হত্যা, প্রধান অভিযুক্ত সৈকত গ্রেপ্তার
আটক সৈকত হাসান। - ছবি - সংগৃহীত

বগুড়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক কিশোরীর দাদি ও ভাবিকে গলা কেটে হত্যা এবং নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে কিশোরীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এই নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত সৈকত হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ভোরে শহরের খান্দার এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের পাশ থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ ইকবাল বাহার।

তিনি জানান, “ঘটনার পর থেকে সৈকত আত্মগোপনে ছিল। বিভিন্ন কৌশলে লুকিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।”

এর আগে বুধবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার দিকে বগুড়া পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন—উক্ত এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৬৫) এবং পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। এ ঘটনায় আহত হন সদ্য এসএসসি পাস করা বুলবুলের মেয়ে বন্যা আক্তার (১৬)।

নিহতদের স্বজনরা জানান, সৈকত দীর্ঘদিন ধরে বন্যাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করছিল। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ও পরিবার থেকে প্রতিবাদ জানানোর পর সৈকত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বুধবার রাতে সৈকত আরও ৭-৮ জন সহযোগী নিয়ে বন্যার বাড়িতে ঢুকে প্রথমে হাবিবাকে ও পরে লাইলী বেওয়াকে গলা কেটে হত্যা করে। বন্যা বাধা দিতে গেলে তার পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়।

স্থানীয়রা চিৎকার শুনে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক লাইলী বেওয়া ও হাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বন্যা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান, “এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি সহযোগীদের ধরতে অভিযান চলছে। ভুক্তভোগী পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।”

এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে।

উপরে