যুবলীগ নেতা আমিনুল ৫ দিনের রিমান্ডে, আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রিকশাচালক কমর উদ্দিন বাঙ্গি হত্যা মামলায় বগুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৪ জুলাই) বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই জাহাঙ্গীর কবির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তা খণ্ডিত আকারে মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলাম (৫০) বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মন্ডলপাড়ার মৃত আবদুল লতিফ মন্ডলের ছেলে। তিনি বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত।
হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি–বিভিন্ন মামলার আসামি
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার জেরে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে মোট ৯টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহীন হত্যা মামলাসহ আরও ১২টির অধিক মামলায় তিনি আসামি।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ও আদালতে হাজিরা
জেলা ডিবি পুলিশের ওসি ইকবাল বাহার জানান, শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশান থানাধীন নিকেতন এলাকার একটি বাসা থেকে আমিনুলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের একটি দল। পরে তাকে পুলিশি পাহারায় রোববার সকালে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত বিএনপি ও স্থানীয় জনগণ আমিনুলকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেন বলেও জানা যায়।
মামলার পটভূমি
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে বগুড়া শহরে অনুষ্ঠিত এক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে রিকশাচালক কমর উদ্দিন বাঙ্গি নিহত হন। নিহতের স্ত্রী ২১ আগস্ট বগুড়া সদর থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামি করে মোট ৩৮২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলার তদন্তের অংশ হিসেবেই আমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।