বগুড়ায় নাট্যাচার্য ড. সেলিম আল দীনের ৭৬তম জয়ন্তী পালিত

বাংলা নাটকের বাঁকবদলের কারিগর, গ্রাম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা ও রবীন্দ্র-উত্তর বাংলা নাটকের পুরোধা নাট্যাচার্য ড. সেলিম আল দীনের ৭৬তম জয়ন্তী নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৮ আগস্ট) বগুড়া থিয়েটার কার্যালয়ে দিনব্যাপী এ কর্মসূচির আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা জিয়া অঞ্চলের অন্যতম সংগঠন বগুড়া থিয়েটার।
অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে কলেজ থিয়েটার, ভোর হলো, লিটল থিয়েটার ও হিন্দোল একাডেমী।
দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল বিকেলে সেলিম আল দীনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
সন্ধ্যায় মূল অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইনকিলাবের বার্তা সম্পাদক মহসিন আলী রাজু, বগুড়া থিয়েটারের সদস্য সচিব দ্বীন মোহাম্মদ দীনু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম. আর. হাসান পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক কবির রহমান, যুগ্ম সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা জিয়ন, নাট্যজন নজরুল ইসলাম, জাকিউল ইসলাম সবুজ, শহীদুর রহমান, সানাউর রহমান, রবিউল করিম, সোবহানি বাপ্পী, নাহিদা সুলতানা, চন্দন কুমারসহ অনেকে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া থিয়েটারের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট পলাশ খন্দকার এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কনক কুমার পাল অলক।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ড. সেলিম আল দীন শুধু বাংলা নাট্যজগৎকেই সমৃদ্ধ করেননি, তাঁর রচিত নাটক আজ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য ও গবেষণার বিষয়।
অ্যাডভোকেট পলাশ খন্দকার বলেন, “সেলিম আল দীনের নাটক আমাদের আলোকিত করে, আশা দেখায়।”
প্রধান অতিথি মহসিন আলী রাজু বলেন, “তিনি বাংলা নাটকের বাঁকবদল ঘটিয়েছেন। তাঁর নাটক বিশ্বমঞ্চে আলোচিত।”
পরে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। কলেজ থিয়েটারের নাট্যকর্মীরা পরিবেশন করেন সেলিম আল দীনের নাটকের গান। ভোর হলো’র শিক্ষার্থীরা আবৃত্তি করেন “প্রণমী সেলিম আল দীন”।
এছাড়া সেলিম আল দীন পাঠশালার শিক্ষার্থীরা স্বর্ণবোয়াল নাটকের অংশবিশেষ পাঠাভিনয় করেন, অলক পাল ও গাজী আশা পরিবেশন করেন কিত্তনখোলা নাটকের অংশবিশেষ।
সবশেষে কলেজ থিয়েটারের নতুন প্রযোজনা কাজলরেখা পালানাটকের অংশ পরিবেশিত হয়। নাটকটির নির্দেশনা দেন নাট্যজন শহীদুর রহমান।