বগুড়ায় মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে জমি দখল ও হামলার অভিযোগ, প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

বগুড়া সদরের ধাওয়াপাড়া এলাকায় শহর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জনা বেগম ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল এবং সশস্ত্র হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জানিয়েছে।
গতকাল রোববার (২৪ আগস্ট) বগুড়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন উত্তর ধাওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম। তিনি মৃত আলতাব আলীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে রফিকুল ইসলাম জানান, তার পিতা পৃথক দলিলের মাধ্যমে মোট ১ একর ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছিলেন। জীবদ্দশায় ৬ শতাংশ জমি বিক্রি করা হলেও অবশিষ্ট ১ একর ৫ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে সন্তানদের মাঝে বণ্টন করে দেন। বর্তমানে রফিকুলের নিজের নামে ৯ শতাংশ জমি রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, উক্ত জমি রঞ্জনা বেগম পৈতৃক দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছেন। গত ৫ মে তিনি তার জমিতে নির্মাণকাজ শুরু করলে রঞ্জনা বেগম ২০-৩০ জন সশস্ত্র লোক নিয়ে গিয়ে বাধা দেন। কাগজপত্র দেখতে চাওয়া মাত্রই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায়। এতে পাঁচজন আহত হন এবং দুইজনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রফিকুল আরও বলেন, এ ঘটনায় তিনি সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং দু’জনকে আটক করে আদালতে পাঠায়। তিনি অভিযোগ করেন, রঞ্জনা বেগম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার ভাতিজা ও ভাগ্নেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টাও করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল দাবি করেন, জমির বিরোধ নিয়ে একাধিকবার থানায় ও আদালতে শুনানি হলেও রঞ্জনা বেগম কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপরও গত ১৫ আগস্ট থেকে তিনি জোরপূর্বক নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা বাধা দিলে বলা হচ্ছে—আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেখে নেওয়া হবে।” ফলে তিনি পরিবার নিয়ে মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রফিকুল ইসলাম প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।