বগুড়ায় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জোড়া হত্যা মামলার আসামি পলাতক

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় জোড়া হত্যা মামলার আসামি ও আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য রফিকুল ইসলাম (৪১) পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছেন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আদালতের গারদখানা থেকে জেলা কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় তিনি পালিয়ে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম।
আদমদীঘি উপজেলার বশিকোড়া গ্রামের রফিকুলকে গত ১৪ জুলাই কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তার কাছ থেকে লুট করা স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থও উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, লুট, দস্যুতা ও চুরির চারটি মামলা রয়েছে।
গত ৮ জুলাই রাতে দুপচাঁচিয়ার লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আফতাব উদ্দিন (৭০) ও তাঁর পুত্রবধূ রিভা আক্তারকে (৩৫) হত্যা করা হয়। পরদিন তাদের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে তহমিনা বিবি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তে আন্তজেলা ডাকাত দলের ১১ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার হলেও আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যান রফিকুল।
তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম জানান, “পলাতক আসামিকে ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে।”
আদালত সূত্র বলছে, জবানবন্দিতে রফিকুল ও অপর আসামি হাকিম ডাকাতির নেপথ্যে সাবেক নলকূপ পাহারাদার আবদুল মান্নানের নাম উল্লেখ করেন। চাকরি হারিয়ে ক্ষুব্ধ মান্নান ডাকাত দলের কাছে তথ্য দেন যে আফতাব উদ্দিনের বাড়িতে প্রচুর টাকা ও স্বর্ণালংকার রয়েছে।
রফিকুল আদালতে স্বীকার করেন, ৮ জুলাই রাতে ১১ জন মিলে বাড়িতে ঢুকে প্রথমে আফতাব উদ্দিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এবং পরে তার পুত্রবধূকেও একইভাবে হত্যা করে লুটপাট চালান।
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।