প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:২৬

বগুড়ায় স্বামী হত্যার বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়ায় স্বামী হত্যার বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বগুড়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত শাকিল খন্দকারের স্ত্রী মোছাঃ সুমি খাতুন স্বামীর হত্যার বিচার ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে বগুড়া সদর উপজেলার ছিলিমপুর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে একটি সংঘর্ষের ঘটনায় তাঁর ছেলে মোঃ সিয়ান খন্দকার ও ভাগিনা মোঃ তৌফিকুর রহমান তৌফিক-কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করা হয়। এসময় তার স্বামী শাকিল খন্দকার এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে নিয়ে যায়।

পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয়রা বগুড়া সদর থানাধীন ছিলিমপুর গ্রামে টিএমএসএস সমিতির পাশে ধানের জমিতে শাকিল খন্দকারের মরদেহ দেখতে পান।

ঘটনার পর সুমি খাতুন বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলা (নং-২২, তারিখ-০৬/০৯/২০২৫, জি.আর.-৭০০/২০২৫) দায়ের করেন। মামলায় মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা মামলা তুলে নিতে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে।

সুমি খাতুন বলেন, “আমার স্বামীকে হত্যার পর আসামিরা এখন আমাকে, আমার ছেলে ও আত্মীয়দের বারবার হত্যার হুমকি দিচ্ছে। পুলিশও তাদের প্রভাবের কারণে গ্রেফতার করতে গড়িমসি করছে।”

তিনি আরও জানান, পরে আসামিরা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে তাঁর ছেলে, ভাগিনা ও পরিবারের আরও নয়জন সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা (সি.আর.-২৬৪৫/২০২৫) দায়ের করেছে। এসব মামলায় হয়রানির ভয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘরছাড়া হয়ে অন্যত্র মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

সুমি খাতুন অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক এক ঘটনায় ১১ ও ১২ নম্বর আসামির পিতা গরুর গুতা খেয়ে আহত হওয়ার পরেও তার পরিবারের সদস্যদের নতুন করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আসামিরা শুধু আমার স্বামীকে হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি; এখন আমাদের সবাইকে শেষ করে দিতে চায়। আমরা ভয় আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের কাছে তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা এবং স্বামী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রতি তিনি সত্য ঘটনা তুলে ধরার অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্বজন মিরাজ, তাজমা বেগম, অপূর্ব, হাসু ও জান্নাতি আক্তারসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

উপরে