প্রকাশিত : ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:৫০

বগুড়ায় মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে ঋণখেলাপীর টাকা পরিশোধে ব্যাংকের নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়ায় মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে ঋণখেলাপীর টাকা পরিশোধে ব্যাংকের নোটিশ
মাহমুদুর রহমান মান্না - ছবি সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের নামে খেলাপি ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পরিশোধে ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করেছে। গত ৩ ডিসেম্বর
বুধবার ইসলামী ব্যাংক বগুড়া শাখা প্রধান মোঃ তৌহিদ রেজা সিডিসিএস স্বাক্ষরিত এক নোটিশে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং তাঁর অংশীদার এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীকে ঋণ পরিশোধে কল ব্যাক নোটিশ প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য নাজমুল কাদির জুলাই গণহত্যার ৯ মামলার পলাতক আসামী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে অভিযোগ উঠেছে, যেই আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন সমালোচনা করে আসছেন মাহমুদুর রহমান মান্না, ঠিক সেই দলেরই এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে তিনি ব্যবসায় যুক্ত। যে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার জন্য ৯ টি মামলা বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জ থানায় রয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে বগুড়া ২ শিবগঞ্জ নির্বাচনী এলাকাতেও।
ইসলামী ব্যাংকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আফাকু কোল্ড স্টোরেজ একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও মান্না ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ পরিশোধ করেননি। বারবার নোটিশ করা হলেও টাকা পরিশোধের কোন চেষ্টাও করেননি মান্না। ব্যাংকের নোটিশ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ২২ কোটি টাকার বিনিয়োগ অনুমোদন করা হলেও, মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ না করায় বর্তমানে বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর এর মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না হলে তারা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুলিশের বিশেষ শাখার তথ্যমতে ব্যবস্হাপনা পরিচালক শাহজাহান চৌধুরী গত ১৯ আগষ্ট-২০২৪ তারিখে আমেরিকায় পালিয়ে যান। অনেকের সন্দেহ, শাহজাহান চৌধুরীর মাধ্যমে আমেরিকায় এ টাকা পাচার করেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। এদিকে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। কিন্তু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর ১৬ (ঠ) ধারায় বলা হয়েছে, কোন ঋণগ্রহিতা ঋণখেলাপী হলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ঋণখেলাপী অবস্হায় মাহমুদুর রহমান মান্না আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্তব্য নিতে তাকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে অপেক্ষা করেও তিনি সাড়া দেননি।

 

উপরে