আরও আগেই বাবার এমন সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল: সোনাক্ষি
অনেক জটিলতার অবসান ঘটিয়ে শেষমেশ বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বলিউড অভিনেতার এমন সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়েছেন তার কন্যা অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। শুক্রবার জানিয়েছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি পদত্যাগ ও কংগ্রেসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তের জন্য বাবা শত্রুঘ্নকে পূর্ণ সমর্থন করেন তিনি। সঙ্গে আরও বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত আরও আগেই নেওয়া উচিৎ ছিল তার।
সাংবাদিকদের সোনাক্ষি বলেন, “কংগ্রেসে যোগ দেওয়া বাবার সিদ্ধান্ত। জেপি নারায়ণ, অটল বিহারী এবং আদভানী জি'র সময় থেকেই বাবা বিজেপির সদস্য! আমি মনে করি এই পুরো দলটিকেই বিজেপি যথাযোগ্য সম্মান দিতে পারেনি। বাবা একটু বেশিই দেরি করেছেন সিদ্ধান্ত নিতে। অনেক আগেই বাবার এটা করা উচিত ছিল।”
কংগ্রেসের প্রধান রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার বিজেপি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন শত্রুঘ্ন সিনহা। অনেকদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি অমিত শাহের প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন শত্রুঘ্ন। গত ১০ বছর ধরে বিহারের পটনা সাহেব আসনের দায়িত্ব সামলেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। কিন্তু এই বছর দলের হয়ে ওই আসনে প্রার্থী হয়েছেন রবি শংকর প্রসাদ। এই ঘোষণার কয়েকদিন পরেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সোনাক্ষি জানিয়েছেন, “আমি মনে করি, আপনার চারপাশে সব যেভাবে চলছে সে বিষয়ে আপনি যদি খুশি না হন তবে সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে লজ্জা করার কোনও মানে নেই! বাবা তাই করেছেন!" দল ছাড়ার আগে শত্রুঘ্ন টুইট করেন যে, “দুঃখজনকভাবে বিজেপি থেকে বেরিয়ে আসতে হল। কিন্তু এবার আমার খুব কাছের বন্ধু লালু যাদব ও নেহরু-গান্ধী পরিবারের সবচেয়ে আলোচিত নেতার প্রগতিশীল নেতৃত্বের ছায়ায় আসছি।’ নাম উল্লেখ না করলেও তিনি যে রাহুল গান্ধীর কথাই বুঝিয়েছেন, তা স্পষ্ট। আগামী ৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেবেন তিনি।
শত্রুঘ্ন বলেন, “এখন আমি বিজেপি ছেড়ে যাচ্ছি কারণ সেখানে একনায়কতন্ত্র চলছে। তাই, আমি জাতির পক্ষের কংগ্রেস দলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি"। সম্ভবত পটনা সাহেব থেকে বিরোধী মহাগটবন্ধনের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে এই লোকসভা আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি।