প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০১৯ ০৩:১০

যুদ্ধ করেও স্বীকৃতি মেলেনি মুক্তিযোদ্ধার

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
যুদ্ধ করেও স্বীকৃতি মেলেনি মুক্তিযোদ্ধার

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা বিরোধী পাক-হানাদার বাহিনিদের পরাজিত করে লাল সবুজের রক্তে রাঙানো রক্তিম পতাকা ছিনিয়ে আনে বাঙ্গালি বীর মুক্তিযোদ্ধারা। অথচ দেশ স্বাধীনের ৪৭ বছর পেরিয়ে গেলে আজও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের কাঁচনা গ্রামের আব্দুল সাত্তার মন্ডল (৭৭) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার কপালে জোটেনি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বা কোন ভাতা। সংসার জীবনে এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে ১০ বছর আগেই মারা গেছেন। রেখে গেছেন স্ত্রী ও এক ছোট শিশু কণ্যা। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সাত্তারের সময় কাটে ছোট নাতিনি ও ছেলে বউকে নিয়ে। পরিবারে উপর্জন করার মত লোক না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। তিনি (১০-৮-১৯৭১) সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্য ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর জেলার কামারপাড়া মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের ৭নং সেক্টরে যোগদান করেন। পরে বগুড়াতে ক্যাপ্টেন ইদ্রিসের তত্ত্ববধানে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। সে সময় তার সহযোগী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ ও কড়িয়া কাঁচনা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা। তবে বাঁকিরা স্বীকৃতি পেলেও তিঁনি কেন স্বীকৃতি পেলেন না তা জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ ও মোস্তফাা জানান, ২০০৯-১০ সালে সরকারি ভাবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাইয়ের সময় আবেদন করেন তিঁনি। সে সময়ে যাচাই-বাচাইয়ের তালিকাতেও সম্ববত ৮ নং তালিকাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সাত্তারের নাম ছিল। পরবর্তীতে ১৪ সালে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন করে এর তালিকা তৈরী করা হয়। নতুন করে আর তিঁনি বাবেদন না করাই আজ তার কপালে জোটেনি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। শুধু তাই নয় স্বীকৃতির অপেক্ষায় বিভিন্ন মহলের দাড়ে দাড়ে ধন্যা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। তাই জীবনের শেষ সময়ে যেন তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয় । কান্না জরিত কন্ঠে প্রধান মন্ত্রীর কাছে তার এই আঁকুল আবেদন। এ বিষয়ে উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মিছিল আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, যুদ্ধ সময়ে তিঁনি কোথায় যুদ্ধ করেছে আমার তা জানা নেই। তবে যদি সে যুদ্ধ করে থাকা নিয়ন অনুযায়ি আবেদন করতে হবে।

উপরে