প্রকাশিত : ৬ মে, ২০১৯ ১৭:৩৩

প্রকৃতি প্রেমিদের হাতছানি দিচ্ছে বর্ণিল কৃষ্ণচূড়া

তরিকুল ইসলাম জেন্টু, ,সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধি:
প্রকৃতি প্রেমিদের হাতছানি দিচ্ছে বর্ণিল কৃষ্ণচূড়া

বগুড়ার সান্তাহারে প্রচন্ড খরতাপেও চোখ জুরানোর সাথে প্রশান্তি নিয়ে এসেছে অগ্নিরাঙা কৃষ্ণচূড়া। কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মের একটি অতি পরিচিত ফুল। গ্রাম কিংবা শহর এখন প্রায় সবখানেই প্রকৃতি প্রেমিদের হাতছানি দিচ্ছে বর্ণিল কৃষ্ণচূড়া। কৃষ্ণচূড়ার অপরূপ রূপে মোহিত হয়ে উঠেছে ভাবুক মন। বাংলা কাব্য ,সাহিত্য ও সংগীতে নানা উপমায় ব্যঞ্জনায় বরাবর উঠে এসেছে কৃষ্ণচূড়ার ফুলের রূপ সৌন্দর্যের বর্ণনা। 

শোভা বর্ধণকারী এ ফুলের বৃক্ষটি এখন সান্তাহারের পাশ্ববর্তী  গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি পৌর এলাকার আনাচে কানাচে পথে প্রান্তরে চোখে পরছে। সান্তাহার হার্ভে স্কুল রোড়ের প্রবাসীপাড়ার জোড়াপুকুর পাড়ে কৃষ্ণচূড়া রঙ ছড়িয়ে রঙিন হয়ে পথিকের চোখ জুড়িয়েছে। এ গাছটিতে আসা রঙিন ফুল জোড়াপুকুরের মাঝখানে নির্মিত মরহুম মাসুম স্মরণী সড়কের চেহারার পরিবর্তন করে ফেলেছে। অপরূপ সৌন্দর্যের কৃষ্ণচূড়া ফুলের রূপ ছড়ানো দৃশ্য ও জোরাপুকুরের মাঝখানের পরিষ্কার রাস্তার পাশে বসে সময় কাটানোর জন্য বিকেল অথবা সন্ধ্যার পর অনেকেই এসে বসেন।

গত কয়েক বছর আগে পুকুরের মাঝখানের এ রাস্তার অবস্থা খুবই চিকন (সরু) ছিলো তার ওপর স্টেশন এর যাত্রীরা আবার মল মূত্রত্যাগ করতো। এ রাস্তাদিয়ে যাবার তেমন ভালো পরিবেশ ছিলোনা। সাম্প্রতি পৌরসভা ‘কাউন্সিলর মরহুম মাসুম স্মরণী সড়ক’ নির্মাণ করে পাশদিয়ে বসার এবং রাতের বেলায় আলোর ব্যাবস্থা করায় এ রাস্তাদিয়ে এখন পথচারীরা সহজেই স্টেশনে যাতায়াত করতে এবং পাশে বসে কিছুক্ষন সময় কাটাতে পারছে।

খোঁজনিয়ে জানাগেছে, হার্ভে সড়কে অবস্থিত সবুজ বেকারীর সত্বাধিকারী খাজাদুল সাখিদার ২টি কাঠাল ও ১টি কৃষ্ণচূড়ার চারা গাছ লাগান। শত পরিচর্চার পরও দুটি কাঠাল গাছ ছাগলে খেয়ে ফেলে এবং কৃষ্ণচূড়ার গাছটি থেকে যায়। তারপর তিনি এবং তার প্রতিবেশি ব্যাবসায়ীরা এই কৃষ্ণচূড়ার গাছটির যতœ নিলে আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠে। বর্তমানে কৃষ্ণচূড়ার গাছটিতে ফুল আসা শুরু হওয়ায় রাস্তাটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। ঐ স্থানের পরিবেশের পরিবর্তনে লোকসমাগম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন সেখানে বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চটপটি ফুসকা এবং পাশে চায়ের দোকান খোলা থাকছে। বলা যেতে পারে একটি কৃষ্ণচূড়ার গাছ এবং গাছের আগুন ঝরা চোখ রাঙানো ফুলের কারনে পরিবেশটা বদলে গেছে। নামজের পর ঢাকাপট্রি মসজিদের অনেক মুসল্লিবৃন্দরা একটু শান্তির সু-বাতাস পেতে ঐ গাছের নিচে কিছুক্ষন বসছে। কৃষ্ণচূড়া এবং পুকুরের মাঝখানের রাস্তাটি সম্পর্কে স্থানীয় কাউন্সিলর ইঞ্জি: সাইফুল ইসলাম খোকন জানান, জনস্বার্থে সান্তাহার পৌরসভার উদ্দ্যোগে এ রাস্তাটি করা হয়েছে। বর্তমানে রাস্তার পূর্বপার্শ্বের কৃষ্ণচূড়ার গাছে ফুল এসে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে।

উপরে