প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০১৯ ২০:৩১

দগ্ধতার যন্ত্রণায় ছটফট করে অবশেষে মৃত্যুর কাছে পরাজিত হলেন পাবনার অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু শাজি খাতুন

পাবনা প্রতিনিধিঃ
দগ্ধতার যন্ত্রণায় ছটফট করে অবশেষে মৃত্যুর কাছে পরাজিত হলেন পাবনার অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু শাজি খাতুন

৫ দিন দগ্ধতার যন্ত্রণায় ছটফট করে বাঁচার জন্য পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের দেয়া আগুনে দগ্ধ পাবনার আমিনপুরের গৃহবধূ শজি খাতুন (৩২)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান। আমিনপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম মঈনুদ্দিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৯ মে ভোররাতে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় শ্বাশুড়ী-ননদরা। নিহত শজি খাতুন বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার তালিমনগর গ্রামের ছুরমান মন্ডলের স্ত্রী।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, ছুরমান মন্ডল কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়া থাকেন। সেখান থেকে তিনি প্রতি মাসে তার বোন সামেলা খাতুনের একাউন্টে টাকা পাঠান। ননদ সামেলা খাতুন প্রতি মাসে মাত্র ৩ হাজার টাকা করে দেন তার ভাবী শজি খাতুনকে। কিন্তু অল্প টাকায় সংসার চালানো সম্ভব না হওয়ায় শাশুড়ী-ননদ, ভাসুর ও জায়ের সাথে কলহ দেখা দেয় শজি খাতুনের।

এ নিয়ে ৯ মে ভোরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাশুড়ী, ননদ ও ভাসুরের বউ মিলে শজি খাতুনের শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

চিৎকারে প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে মারা যান শজি খাতুন। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধুর বাবা ফজিবর রহমান বাদি হয়ে ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার দিন সকালে পুলিশ ননদ সামেলা খাতুনকে আটক করলেও অন্যদের এখনো গ্রেফতার করেনি।।

গৃহবধূর মৃত্যুর কারণে মামলাটিতে একটি ধারা যুক্ত হয়ে হত্যা মামলায় রুপান্তর করা হবে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম হোসেন।

উপরে