ফুলবাড়ীতে বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শুরু
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের উৎসব শুরু হয়েছে। কৃষক এই উৎসব পালন করতেই এখন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। এবার এ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে অর্জিত লক্ষমাত্রার ১১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে।
বোরো ধানে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার রোগব্যধি কম হওয়ায় ফসল অনেকটা ভালো হয়। ফলে এবার এখানকার কৃষক অনেকটা স্বস্তি নিয়েই বোরো দান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছেন। ফুলবাড়ীর বড়ভিটা চরাঞ্চরের কৃষক সামিউল হক বলেন, তিনি ফুলবাড়ী ছড়ায় ২ বিঘিা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। এখন এই ধান কেটে এনে মাড়াই করে ২ বিঘায় ৩৫ মণ ধান পেয়েছেন। তার চাষকৃত জমিতে সময় পরিচর্যা হলে তিনি আরও বেশি ধান পেতেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। একই এলাকার কৃষক ইউনুছ আলী জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। ক্ষেতে পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় এবার তার বোরোর ফলন ভালো হয়েছে। ওই ফসল কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। তিনি বিঘাপ্রতি ২০ মণ ধান পাওয়ার আশা করছেন। কৃষক জয়নাল আবেদীন, রজব আলী, সেরাজুল সহ আরও অনেকে। তারা বোরো ধান কাটা ও মাড়াই কাজ শুরু করেছেন। বিঘাপ্রতি তারা ১৮ থেকে ২০ মণ ধান পাওয়ার আশা করছেন। এতে ধান উৎপাদনের ৬/৮ হাজার খরচ বাদ দিয়ে ধান বিক্রি করে তারা বিঘাপ্রতি ৪/৫ হাজার টাকা আয় করার আশা করছেন।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহবুবর রশিদ জানান, ফুলবাড়ী উপজেলায় এবার ১১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষমাত্রার ৩ ভাগের ১ ভাগ কাটা ও মাড়াই হয়েছে। এতে কৃষক হাইব্রিড জাতের ধান থেকে বিঘাপ্রতি ২২/ ২৫ মণ ধান পাচ্ছেন। উফশি জাতের ধান থেকেও ২০/২২ মণ ধান বিঘাপ্রতি ঘরে আসছে কৃষকের। বোরো ক্ষেতে পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় এবার এখানে বোরো চাষে কৃষকরা আশানুরুপ ফলন পাবেন।