প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০১৯ ০১:৩৮

হিলিতে পাঁচ বছরের শিশুকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা

হিলি প্রতিনিধি:
হিলিতে পাঁচ বছরের শিশুকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা

দিনাজপুরের হিলিতে পাঁচ বছরের শিশুকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টার অভিযোগে সুকুমার বর্মন (৩৫) নামের এক ট্রাক চালককে গাঁছে বেধে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। সে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। গত শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে হিলির ইসমাইলপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। সুকুমার বর্মন হিলির গোহাড়ার কুশাই বর্মনের ছেলে। শিশুটি ইসমাইলপুর গ্রামের রমিজ উদ্দিনের মেয়ে, সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেনীতে পড়ে।

এদিকে ওই ঘটনায় চালক সুকুমারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রমিজ উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। শিশুটির মা রাবেয়া বেগম জানান, শুক্রবার দুপুরের দিকে আমি বাড়িতে রান্না করছিলাম, এসময় আমার মেয়ে বাড়ির পার্শ্বের টিউবয়েলে গোসল করতে যায়। কিছুক্ষন পর মেয়ে দৌড়ে বাড়িতে চলে আসে। জিঙ্গাসাবাদ করলে বলে গোসল করার সময় এক লোক টিউবয়েল পাড়ে আসে, তাকে প্যান্ট খুলতে বলে, শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে, সেই সাথে এই ঘটনা কাওকে না বলার জন্যও নিষেধ করে। আমি সাথে সাথে বাহির হয়ে মানুষকে খুজতে থাকি, পরে মেয়ের কথা মতো একটি ট্রাকের মধ্যে ওই মানুষকে দেখতে পায়।

পরে আমার স্বামীসহ গ্রামের লোকজন আসলে ঘটনাটি শুনে ওই ট্রাক থেকে মানুষটিকে নেমে দুই চারটি চর থাপ্পর মেড়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ট্রাক চালক সুকুমার বর্মন জানান, ধান লোড দেওয়ার জন্য ট্রাক নিয়ে শুক্রবার দুপুরে হিলির ইসমাইলপুরে যায়। পরে সড়কের পাশে ট্রাক রেখে গরমের কারনে মাথায় পানি দেওয়ার জন্য পার্শ্বে টিউবয়েলে যায়। এসময় সেখানে ৪/৫ বছরের একটা বাচ্চা গোছল করছিল, শিশুটির কাছ থেকে মগ নিয়ে মাথা ও হাত মুখে পানি দেই, পরে মোছার জন্য শিশুটির কাছ থেকে গামছাও চেয়ে নেয়। এ সময় শিশুটির গায়ে লাল পিপড়া দেখে আমি শিশুটিকে পিপড়া থাকার কথা বলি, শিশুটি পিপড়ার ভয়ে দ্রুত বাড়িতে যায়।

এসময় আমিও সেখান থেকে চলে আসি। কিছুক্ষন পর শিশুটির মা, বাবাসহ লোকজন এসে আমাকে ট্রাক থেকে নামিয়ে আম গাছের সাথে দরি দিয়ে বেধে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। এতে আমার ডান পায়ের হাটুর নিচে ফেটে যায়, প্রচুর রক্তক্ষরন হয়। বিষয়টি ট্রাক মালিককে জানালে মালিক ও ট্রাক ড্রাইভাররা এসে আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শাকিল মাহমুদ বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

তার হাত ও পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রচন্ড আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা তাকে চিকিৎসা দিয়েছি,আগের চেয়ে তার অবস্থা কিছুটা ভালোর দিকে রয়েছে। হাকিমপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, গাছের সাথে বেধে মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগি সুকুমার বাদী হয়ে ৪জনকে আসামী করে গতকাল শনিবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই অভিযান চালিয়ে মুল অভিযুক্ত রমিজ উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে এধরনের অনাকঙ্খিত ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি, পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।

উপরে