গো-খাদ্যের চরম সংকট সোনাতলায় বন্যা পরিস্থিতির ব্যপক অবনতিঃ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন
বগুড়ার সোনাতলার উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের ৪টি ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির ব্যপক অবনতি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি হওয়ার কারনে কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু জায়গায় সড়ক ভাঙ্গনের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও সদর ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম সহ পৌর এলাকার কামার পাড়া, বিষুর পাড়া, গড়চৈতন্যপুর ও আগুনিয়াতাইড় গ্রামের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে।
পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে উক্ত এলাকার কয়েশ শত পরিবার। বাঙ্গালী নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ভেলুর পাড়া-গাবতলী সড়কের চরপাড়া-এলাকায় রাস্তা দেবে যাওয়ার কারনে জেলা সদর বগুড়ার সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। চড়পাড়া হয়ে হরিখালী সড়কের হুয়াকুয়া নামক স্থানে প্রবল স্রােতে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে উক্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া পৌর এলাকার কামার পাড়া হয়ে সোনাতলা সদরের সড়কে শরীফ উদ্দিন রেলগুমটি সড়কটি এবং বালুয়াহাট টু সোনাতলার মেইন সড়কটির কিছু অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার কারনে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উক্ত এলাকার জনসমাষ্টি কে।
উপজেলার বয়ড়া দাখিল মাদ্রাসা, এনায়েত আলী উচ্চ বিদ্যালয়, পোড়াপাইকড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ভেলুর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিমেরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় মানুুষের দূর্ভোগের পাশাপাশি গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। গো-খাদ্য হিসেবে গাছের লতাপাতা কেটে গৃহস্থ্যরা গৃহপালিত পশু কে খাওয়াছেন। বন্যা দীর্ঘ স্থায়ী হলে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুর চরম দূর্ভ্যগে সৃষ্টি হয়েছে। গোয়াল ঘরে গবাদি পশু রাখতে না পারায় কিছু উচ্চ স্থানে গবাদি পশু রেখে পাহারা দিতে হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের নজর দারী বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে ইউএন ও শফিকুর আলম জানান